চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই তাইওয়ানে সাধারণ নির্বাচন
<![CDATA[
চীনের সঙ্গে টান টান উত্তেজনার মধ্যেই দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানে চলছে সাধারণ নির্বাচন। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনে তাইওয়ানের জনগণ কাকে বেছে নেয় সেটিই দেখার বিষয়। শনিবার (২৬ নভেম্বর) নির্বাচন ঘিরে কেন্দ্রগুলোতে দেখা যায় নাগরিকদের দীর্ঘ সারি। খবর রয়টার্সের।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রটিকে বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত করতে চীনের প্রচেষ্টা ও চীনশাসিত হংকংয়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে দেশটিতে প্রেসিডেন্সিয়াল ও পার্লামেন্টারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের বিরোধ অনেক দিনের। চীন দেশটিকে নিজের অধীন বলে দাবি করে আসছে। যদিও তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন দাবি করে আসছে। এরই মধ্যে অভিযোগ উঠেছে চীন ফলাফল জালিয়াতির চেষ্টা করছে।
এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাইওয়ানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন ও বিরোধী দল কুমিংটাং পার্টির হান কুও-ইয়ু। দুজনই দুই মতাদর্শের। একজন তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী নেতা, আরেকজনের সঙ্গে রয়েছে চীনের গভীর সম্পর্ক।
আরও পড়ুন: নিজ ভূখণ্ড রক্ষায় পুরোপুরি প্রস্তুত তাইওয়ান
তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী নেতা বর্তমান প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার আশা প্রকাশ করে বলেন, তাকে একটি ভোট দেয়া মানে স্বাধীনতাকে একটি ভোট দেয়া। তিনি আরও বলেন, আমাকে ও ইনক উকে নির্বাচিত করার অর্থ গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার সঙ্গে থাকা।
সাই ইং-ওয়েনের দলীয় প্রার্থী সাবেক ব্যাংকার ইনক উ পার্লামেন্টারি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২০১৮ সালে স্থানীয় নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) নেতৃত্ব ছাড়তে বাধ্য সাই ইং-ওয়েন একটি সহজ জয় পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চীনের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তাইওয়ানের
প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে সাই ইং-ওয়েনের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দেশটির প্রধান বিরোধী দল কুমিংটাং পার্টির হান কুও-ইয়ু। বেইজিংয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখার পক্ষপাতী কুও-ইয়ু বলেন, তাইওয়ানের সুরক্ষা ও সমৃদ্ধির এটাই একমাত্র পথ।
এই নির্বাচনে ভোট দেয়ার বয়স ১৮ তে নামিয়ে আনার জন্য একটি গণভোট যুক্ত রয়েছে। বর্তমানে ২০ বছরের অধিক বয়সীরা ভোটদান করছেন।
]]>




