অপহৃত নয়, জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চিকিৎসক আটক
<![CDATA[
কিশোরগঞ্জে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. মির্জা কাউসারকে কেউ অপহরণ করেননি। রোববার (১৩ নভেম্বর) জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে আটক করেছে।
রোববার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আ ন ম নৌশাদ খান। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ শহরের একটি কোচিং সেন্টার থেকে ডা. কাউসারকে অপহরণ করা হয়েছে বলে পরিবার ও মেডিকেলে কলেজের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।
ডা. আ ন ম নৌশাদ খান বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ রোববার রাত ১০টার দিকে তাকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছেন। ডা. কাউসার বর্তমানে ঢাকায় ডিবি অফিসে পুলিশের হেফাজতে আছেন বলেও জানান তিনি।
এ দিকে স্বজনরা জানান, ডা. মির্জা কাউসারকে ঢাকা থেকে আসা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করেছে বলে তারা নিশ্চিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: কোচিং সেন্টার থেকে চিকিৎসক অপহরণ
তার বাবা মির্জা আবদুল হাকিম জানান, ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশ তার সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত করেছে যে তার সন্তান পুলিশের হেফাজতে আছে। এ সময় ডা. কাউসারের সঙ্গে তার বাবা-মাকে ফোনে কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়।
গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জ শহরের খরমপট্টি এলাকার মেডিক্স কোচিং সেন্টার থেকে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক ডা. মির্জা কাউসারকে একটি কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় অপরিচিত ৬ ব্যক্তি। এরপর থেকেই তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে দাবি করেন স্বজন ও মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ডা. মির্জা কাউসার জেলার বাজিতপুর উপজেলার উজানচর গ্রামের মির্জা আবদুল হাকিমের ছেলে। তার স্ত্রীও আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের প্রভাষক। তিনি একই মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে প্রভাষক হিসেবে চাকুরি নেন। চাকরির পাশাপাশি শহরের খরমপট্টি এলাকায় মেডিক্স নামে একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন।
]]>




