অভাবের কারণে স্কুল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে শিশুরা
<![CDATA[
শ্রীলঙ্কায় ক্ষুধা ও অভাবের কারণে স্কুল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে শিশুরা। খাবার না দিয়ে স্কুলে না পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে অনেক স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ কারণে দিন দিন ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে দেশটিতে।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে এ তথ্য।
সন্তানদের পাতে খাবার তুলে দিতে না পারার কষ্ট বাবা-মা ছাড়া অন্য কেউ বুঝবে না। আর সে কষ্টেই পড়েছেন শ্রীলঙ্কার অনেক অভিভাবক। তারা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে বাধ্য হচ্ছেন খালি পেটে, টিফিনের জন্য খাবারও দিতে পারছে না বহু পরিবার। এ অবস্থায় স্কুলগুলো অভিভাবকদের অনুরোধ করেছে, খাবার না দিয়ে শিশুদের স্কুলে না পাঠানোর। আর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের কারণে শ্রীলঙ্কার অনেক শিশু স্কুল ছাড়ছে।
শ্রীলঙ্কা নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। অনেকের চাকরি চলে গেছে, অনেকের ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় আমদানি করা খাদ্যপণ্যের দাম বেশি ও দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে। ২০২১ সালে দেশটির সরকার জৈব কৃষির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এতে করে এ বছর ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ফসল কম হয়েছে। এসব কারণে দেখা দিয়েছে খাদ্যসংকট।
এতে করে নিম্নআয়ের মানুষের জীবিকা ব্যাহত হচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে শিশুদের ওপর। গত ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার ৩৬ শতাংশ পরিবার নিয়মিত খাবার পায়নি। গত জুনে ইউনিসেফ জানিয়েছিল, শ্রীলঙ্কার ৫৬ হাজার শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে।
আরও পড়ুন: ফের বিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কা
এসব কারণে অনেক শিশু এখন স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ক্ষুধা সহ্য করতে না পারায় তারা খালি পেটে স্কুলে যেতে চায় না। তবে খাদ্যসংকটের কারণে কত শিশু স্কুলে যাওয়া বন্ধ করেছে, তার সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে গত জুন মাসে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, যেসব স্কুলে খাবার দেয়া হয় না, সেখানে শিশুরা যাচ্ছে না।
তবে শ্রীলঙ্কার স্কুলশিক্ষকরা বলছেন, শুধু খাদ্যসংকট নয় এর সঙ্গে যোগ হয়েছে উচ্চ পরিবহন খরচ, স্টেশনারির দাম বেড়ে যাওয়া, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য লাগামছাড়া হওয়া, জীবনযাপনের ব্যয় বেড়ে যাওয়া।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণের প্রভাবে শ্রীলঙ্কায় সব স্কুল বন্ধ
]]>




