অভিনেতা খলিল উল্লাহর ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী
<![CDATA[
ষাটের দশকের বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম নায়ক খলিল উল্লাহ খান। নায়কোচিত অভিনয়জীবন তার। অভিনয়শিল্পী হতে চাননি কখনো, তাই নায়কের খেতাব অর্জন করেছিলেন তিনি।
১৯৫৯ সালে কলিম শরাফী ও জহির রায়হান পরিচালিত ‘সোনার কাজল’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে পদার্পণ করেন। ১৯৬৬ সালে এসএম পারভেজ পরিচালিত ‘বেগানা’ সিনেমায় প্রথমবারের মতো খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এরপর বহু সিনেমায় তাকে খল চরিত্রে দেখা গেছে। ইতিহাসনির্ভর ‘ফকির মজনু শাহ’ সিনেমায় নামভূমিকায় অভিনয় করেও তিনি ভূয়সী প্রশংসা পান। ঢাকাই চলচ্চিত্রের একজন শক্তিমান অভিনেতা তিনি। আজ তার চলে যাওয়ার আট বছর।
আরও পড়ুন: বড় পর্দায় ফিরছেন পপি
খল চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকমন জয় করেছেন। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় রুপালি জগৎ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। ক্যারিয়ারে ছোট পর্দার পাশাপাশি বড় পর্দায় আট শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। পেয়েছেন নানা সম্মাননা। ২০১২ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননা অর্জন করেন তিনি। বড় পর্দার এই অভিনেতা বেশ কয়েকটি টিভি নাটকেও অভিনয় করেছেন। শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ধারাবাহিক সংশপ্তক এ মিয়ার বেটা চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকনন্দিত হন।
আরও পড়ুন: ইরানের আদালতে তলবের খবরটি বানোয়াট: অনন্ত জলিল
১৯৩৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ভারতের মেদিনীপুরে জন্মগ্রহণ করেন অভিনেতা খলিল। তিনি একাধারে টিভি ও চলচ্চিত্রাভিনেতা। চলচ্চিত্রে তার অভিষেক হয় ১৯৫৯ সালে কলিম শরাফী ও জহির রায়হান পরিচালিত ‘সোনার কাজল’ সিনেমার মাধ্যমে। প্রয়াত পরিচালক আলমগীর কুমকুম পরিচালিত ‘গুন্ডা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন খলিল।
বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান অভিনেতা খলিল উল্লাহ খানের আজ অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৪ সালের আজকের দিনেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
]]>