শর্ট পিচ ডেলিভারি কোমরে লাগলেও দেয়া হয় এলবিডব্লিউ। আবার নিশ্চিত কট বিহাইন্ডের আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়। প্রভাবশালী ক্লাব আর ক্রিকেট বোর্ডের অসাধু কর্মকর্তাদের ইশারায় এমন নানা পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়াররা।
ঘরোয়া লিগ নিয়ে এভাবেই অভিযোগ করেছেন দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব ট্যালেন্ট হান্ট ক্রিকেট একাডেমির সভাপতি। যদিও এতো অভিযোগ সত্ত্বেও নিজেদের পক্ষে সাফাই গাইছে আম্পায়ার্স অ্যাসোসিয়েশন।
প্রশ্নবাণে জর্জরিত ঘরোয়া ক্রিকেটের আম্পায়ারিং। বছরের পর বছর নানা অভিযোগ উঠলেও কর্ণপাত করেনি ক্রিকেট বোর্ড। তবে সাকিব আল হাসানের কাণ্ডের পর সরব সব মহল।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ তো আছেই, নিচের স্তরে অবস্থা শোচনীয়। দ্বিতীয় বিভাগের দল ট্যালেন্ট হান্ট একাডেমির কর্ণধারের মুখেই শুনুন, কীভাবে মাঠে বঞ্চনার শিকার হতে হয় তুলনামূলক ছোট ক্লাবগুলোকে।
ট্যালেন্ট হান্ট ক্রিকেট একাডেমির সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, ২০১৮-১৯ এর কোনো একটি খেলায় পেস বল, শর্ট পিচ বল বগলের নিচ পর্যন্ত উঠে আসলেও এলবিডব্লিউ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ক্লিয়ার কটবিহাইন্ড হলেও আম্পায়ার আউট দেননি। আম্পায়ারদের একটি গ্রুপ আছে, তারা মাঠে নামলেই খেলা আর খেলা হবে না।
কয়েক বছর আগে সিসিডিএমের ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালীন অভিযুক্ত বেশ কিছু আম্পায়ারের তালিকা করে আম্পায়ার্স কমিটির কাছে পাঠিয়েছিলেন নাজমুল ইসলাম। কিন্তু তৎকালীন চেয়ারম্যান নাজমুল করিম টিংকুর নেতৃত্বাধীন কমিটি কর্ণপাত করেনি।
২০১৯-২০ মৌসুমের ৬টি ম্যাচে বাজে আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগ তুলে বিসিবির কাছে রিভিউয়ের আবেদন জানিয়েছেন। সে আবদন কি ধোপে টিকবে, আসলেই কি তদন্ত হয়?
নাজমুল ইসলাম বলেন, শুধু খেলার জন্যই খেলা হয় না। খেলার বাইরে আরও বেশ কিছু জিনিস আছে। অর্থ ও প্রশাসনিক প্রভাবও আছে। যারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত, তাদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত না হলে বলার কোনো উপায় নেই। আবার আমাদের ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান যিনি, তিনি চাইলে কিছু করতে পারেন।
তোপের মুখে আম্পায়াররা। এবারও আবাহনীর মতো প্রভাবশালী ক্লাবের পক্ষে অনৈতিক সিদ্ধান্ত দেয়ার একাধিক অভিযোগ আছে আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে। কিন্তু, এগুলোর নাকি কোনো ভিত্তিই খুঁজে পাননি আম্পায়ার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি।
আম্পায়ার্স অ্যাসোসিয়েশনর সেক্রেটারি সয়লাব হোসেন টুটুল বলেন, এটা একেবারে ভুল কথা। কারণ তৃতীয় বিভাগেরও ফুটেজ আমরা প্রতিদিন পাচ্ছি। সেক্ষেত্রে এই ধরনের ঢালা অপবাদ দেওয়া, এটা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য না।
তিনি বলেন, বাকি যে টিমগুলো, সবগুলো টিম কী এলবিডব্লিউ পেয়েছে? এর মধ্যে কেউ কেউ তো আবাহনীর মতো হতে পারে। এটার কোনো যৌক্তিকতা থাকতে পারে না।