আওয়ামী লীগ যে কথা বলে, সে কথা রাখে: প্রধানমন্ত্রী
<![CDATA[
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যে কথা বলে, সেই কথা রাখে। সেই ১৯৪৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ মানুষের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করে চলেছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ওয়াদা করেছিল দেশের উন্নতি করবে; আমরাই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছিলাম, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছিলাম, সাক্ষরতার হার বাড়িয়েছিলাম, কমিউনিটি ক্লিনিক করেছিলাম। মানুষের সেবা করাটা যে একটা সরকারি দায়িত্ব, এটা প্রথম ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকেই মানুষ উপলব্ধি করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘অন্যদিকে ২০০১-২০০৮ সালে আরেকটি কালো অধ্যায় বাংলাদেশের জীবনে আসে। এরপর ২০০৮-এর যে নির্বাচন, সেই নির্বাচনে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম রূপকল্প-২০২১। ২০২১ আমরা এ জন্য ঘোষণা দিয়েছিলাম যে, ২০২১ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা পালন করব। কিন্তু সুবর্ণজয়ন্তী যখন আমরা পালন করব, যুদ্ধবিধ্বস্ত যে বাংলাদেশকে জাতির পিতা স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা এনে দিয়েছিলেন, সেই বাংলাদেশকে আমরা আরও এক ধাপ ওপরে নিয়ে যেতে চাই। আল্লাহর রহমতে যে ওয়াদা আওয়ামী লীগ দেয়, সেই ওয়াদা আওয়ামী লীগ রাখে।’
আরও পড়ুন : বঙ্গবন্ধু ফিরে আসার পরই স্বাধীনতা অর্জন পূর্ণতা পায়: প্রধানমন্ত্রী
‘২০২১-এ আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করি, তখনই কিন্তু আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। অর্থাৎ, আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে এক ধাপ ওপরে স্থান করে নিয়েছি, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধুর শাসনকালের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন ঘুণেধরা সমাজ ভেঙে নতুন সমাজ গড়তে, চেয়েছিলেন ঔপনিবেশিক সময়ের সংস্কার ভেঙে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধীরা তাকে সেই কাজ সম্পন্ন করতে দেয়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আর কয়েকটি বছর যদি তিনি (বঙ্গবন্ধু) হাতে সময় পেতেন, স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারত। সেই সাহস, কর্মদক্ষতা, সেই পরিকল্পনা তার ছিল।’
‘কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, যারা স্বাধীনতাই চায়নি, যারা আমাদের বাংলাদেশ রাষ্ট্রই চায়নি, তাদের ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। সেই সঙ্গে তাদের দোসররা মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে উন্মুখ ছিল। যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারকে হত্যা করল। আমরা পরিবার হারিয়েছি, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তো তাদের বেঁচে থাকার স্বপ্নকেই হারিয়েছে,’ বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
]]>




