আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে মুসল্লিদের ঢল
<![CDATA[
মুসলিম উম্মাহর দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের শেষ মুহুর্ত চলছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে আখেরি মোনাজাত। এর মাধ্যমে শেষ হবে এবারের দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব। বেলা ১১টার পর মোনাজাত শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
রোববার (২২ জানুয়ারি) তৃতীয় দিন ফজরের পরই গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হয়েছে বয়ান। ভারতের দিল্লির মোরসালিন নিজামুদ্দিন বয়ান করছেন। এবার ইজতেমার মাঠে আসেননি বিশ্ব তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা সাদ আহমদ কান্ধলভী। ফলে হেদায়েতি বয়ান ও আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী।
এরই মধ্যে মোনাজাতে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন মুসল্লিরা। জানা গেছে, আজকের আখেরি মোনাজাতে মন্ত্রিপরিষদের একাধিক সদস্য, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সরকারি-বেসরকারিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিভাগের কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।
আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ফজরের পর থেকেই টঙ্গী ও ঢাকার আশপাশের এলাকা থেকে মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুসল্লিদের স্রোত বাড়তে থাকে।
আরও পড়ুন: মুসল্লিদের সুবিধার্থে মেট্রোরেলের সিডিউল পরিবর্তন
তবে প্রথম পর্বের মতো এবারও যানবাহন বন্ধ থাকার ঘোষণা দেয়া হলেও কিছু কিছু যানবাহন চলছে। বিমানবন্দর সড়কের সব গণপরিবহন উত্তরা ও আব্দুল্লাহপুর হয়ে ইজতেমার মাঠ পর্যন্ত যেতে পারছে। ফলে মুসল্লিরা হেঁটে ইজতেমার ময়দানে আসার পাশাপাশি যানবাহনে চড়েও আসছেন। আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মুসল্লিদের আগমন অব্যাহত থাকবে। তবে কেউ কেউ নদী পথে, কেউবা ট্রেনে বা ছোট ছোট যানবাহনে আসছেন ময়দানের দিকে।
যানজট না থাকায় যানবাহন চলতে আজ বাঁধা দেয়া হয়নি বলেও জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা। তারা জানান, যতক্ষণ না যানজট দেখা না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত বাস ও অন্যান্য যানবাহন চলবে।
এদিকে, আখেরি মোনাজাতের জন্য আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানাসহ বিভিন্ন অফিস ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করেনি ওইসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মোনাজাতে অংশ নিতে ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে কোনও বাধা নেই।
দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ৫টি ‘মোনাজাত স্পেশাল’ ট্রেন পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এরই মধ্যে ট্রেনগুলো সব কমলাপুর থেকে টঙ্গী স্টেশনে পৌঁছে গেছে।
]]>




