আজও সন্ধান মেলেনি মাদ্রাসাছাত্র হাবিবুরের
<![CDATA[
নিখোঁজের এক মাস হতে চললেও বাড়ি ফেরেনি চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার পারলক্ষিপুর গ্রামের মাদ্রাসাছাত্র হাবিবুর রহমান। এদিকে ছেলেকে ফিরে পেতে আহাজারি করছেন বাবা-মা। পথ চেয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন তারা।
গত ৭ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বোয়ালিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসা থেকে রাতে কাউকে কিছু না বলে চলে যায় ১৫ বছর বয়সী হাবিবুর। এ ঘটনায় ১৯ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন বাবা মোহাম্মদ আলী।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের পারলক্ষিপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান। সে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বোয়ালিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে পড়ে। বর্তমানে হাবিবুর রহমান ১৮ পারা কোরআন শরিফ হেফজ করেছে। গত ৭ অক্টোবর রাতে কাউকে কিছু না বলে মাদ্রাসা থেকে গেঞ্জি ও পাজামা পরে বের হয়ে যায়। পর দিন মাদ্রাসা সুপারের কাছে বিষয়টি জানতে পেরে হাবিবুরের পিতা মোহাম্মদ আলী সব আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করে। তাকে খুঁজে না পেয়ে গত ১৯ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন হাবিবুরের বাবা মোহাম্মদ আলী।
আরও পড়ুন: বেত্রাঘাতের পর মাদরাসাছাত্র নিখোঁজ, ছয় দিনেও মেলেনি সন্ধান
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হাবিবুর রহমান চার ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট। বাবা মোহাম্মদ আলী কৃষিকাজ করেন। হাবিবুর রহমান পরিবারের সবার আদরে বড় হয়েছে। তাকে কোরআনের হেফজ পড়ানোর জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বোয়ালিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজের পর পরিবার ও আত্মীয়স্বজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাননি। এদিকে প্রায় এক মাস হওয়ার পরও ছেলের সন্ধান না পেয়ে বাবা-মা চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন।
হাবিবুরের গায়ের রং শ্যামলা, মুখমণ্ডল গোলাকার, উচ্চতা আনুমানিক সাড়ে ৪ ফিট। সে পাজামা ও ঘিয়া রঙের গেঞ্জি পরে মাদ্রাসা থেকে বের হয়।
আরও পড়ুন: নিখোঁজ ইমনের সন্ধান চায় পরিবার
হাবিবুরের বাবা কান্নাকণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলে বোয়ালিয়া মাদ্রাসা থেকে কাউকে কিছু না বলে কোথায় চলে গেছে। তাকে প্রায় ১ মাস ধরে খুঁজে পাচ্ছি না। পরিবারের সবাই ছেলের আসার অপেক্ষায় আছে।’
বোয়ালিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার সুপার হাফেজ মো. আবু মুছা জানান, ৭ অক্টোবর ভোরে সবাইকে ডেকে পড়তে বসানো হয়। ফজরের নামাজের সময় সবাই নামাজ পড়তে যায়। হাবিবুর সুন্নত নামাজ পড়ে বের হয়ে পড়ে। আমরা নামাজ শেষে করে তাকে আর খুঁজে পাইনি। পরে তার পরিবারকে জানানো হয়।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান বলেন, মাদ্রাসাছাত্র নিখোঁজের ঘটনায় একটি জিডি হয়েছে। মাদ্রাসা ছাত্র হাবিবুরের সন্ধানে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
]]>




