আড়াই হাজার তরমুজ গাছ উপড়ে ফেলায় দিশেহারা কৃষক
<![CDATA[
পটুয়াখালীতে রাতের আধারে আড়াই হাজার তরমুজ গাছ উপড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। শেষ সম্বল নষ্ট হওয়ায় দিশেহারা হতদরিদ্র কৃষক পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে দেখা যায়, ক্ষেত জুড়ে পড়ে আছে তরমুজের মরা লতাপাতা ও শেকড়। দুর্বৃত্তদের রোষানলে কৃষকের স্বপ্ন পুড়ে ছাই।
ক্যান্সার আক্রান্ত পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার মাদারবুনিয়া গ্রামের কৃষক জহির মুন্সি। বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে ধার দেনা আর জমানো দুই লাখ টাকা খরচ করে তরমুজ আবাদ করেন। গাছে লতা-পাতা, ফুল ও ছোট ছোট ফলে ভরে যায়। তাই তিনি দিনক্ষণ গুনছিলেন কবে ফল বড় হবে। কিন্তু মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে ফলন্ত আড়াই হাজার তরমুজ গাছ উপড়ে ফেলে দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: লাউ গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা!
কৃষক জহির মুন্সীর স্ত্রী কুলসুম বেগম বলেন, ‘লাভের আশায় তরমুজ চাষ করে এখন পুরো নিঃস্ব হয়ে গেছি। রাতের আড়ালে এভাবে আমাদের নিঃস্ব করে দিল! এ ব্যথা বলে বোঝানোর নয়। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি চাই।’
গাছের সঙ্গে এমন নৃশংসতায় জড়িতদের বিচার দাবি করে এলাকাবাসী বলছেন, এ ক্ষতি অপূরণীয়। এ ক্ষেতের ওপর নির্ভরতা ছিল জহির মুন্সীর। তাকে যারা এভাবে পথে বসালো তাদের শাস্তি দাবি করছি।
রাঙ্গাবালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইকবাল আহমেদ বলেন, ‘তিনি যদি চান যে আবারও তরমুজ চাষ করবেন, তাকে কৃষিঋণের ব্যবস্থাসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’
আরও পড়ুন: তরমুজ গাছের সঙ্গে শত্রুতা!
৫ বিঘা জমিতে তরমুজ আবাদ করেন কৃষক জহির মুন্সি। তার বেশিরভাগই দুর্বৃত্তরা কেটে ফেলেছে।
]]>