বিনোদন

‘আত্মগোপনে’ ছিলেন মরিয়ম মান্নানের মা!

<![CDATA[

আলোচিত মরিয়ম মান্নানের মা রহিমা বেগমকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে চলছে নানা সমালোচনা। তবে রহিমা বেগমকে উদ্ধারের পর পুলিশ বলছে, তিনি নিজেই স্বেচ্ছায় ‘আত্মগোপনে’ ছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ফরিদপুরের বোয়ালমারিতে জনৈক কুদ্দুসের বাড়িতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর যান রহিমা বেগম। যিনি এক সময় খুলনাতে রহিমা বেগমের বাসায় ভাড়া থাকতেন। ওই পরিবারের অন্যদের সাথে কথা বললে তারা জানান, এর আগে রহিমা বেগম চট্টগ্রাম ও গোপালগঞ্জের মোকসেদপুরে ছিলেন। তিনি সেখানে আশ্রয় চান এবং গত ৭ দিন এখানেই অবস্থান করছিলেন।

সেই বাসা থেকে রহিমা বেগমের ব্যবহৃত পুরোনো পোশাকও উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে খুলনায় নিয়ে আসা হয়। আশ্রয় দেয়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানিয়েছে, এই ২৮ দিন তিনি কখনও চট্টগ্রাম, কখনও মোকসেদপুরে অবস্থান করছিলেন। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আশ্রয় দেয়া পরবিরার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আল আমিন, তার ও তার ভাইয়ের স্ত্রীকে পুলিশ নিয়ে এসেছে।

তবে তিনি নিজে থেকেই আত্মগোপনে গিয়েছেন কি না সেটা এখনো নিশ্চিত নয় পুলিশ। আপাতত তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হবে।

আরও পড়ুন: মায়ের সন্ধান পেয়ে ফেসবুকে যা লিখলেন মরিয়ম মান্নান

রহিমা বেগমকে উদ্ধারের পর সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন।

তিনি বলেন, আমরা তার ব্যবহৃত পুরোনো বেশ কিছু পোশাক উদ্ধার করেছি। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা ফরিদপুরে এই দলটি পাঠায়। তারা ওই বাসায় যখন পৌঁছায় তখন রহিমা বেগম ওই বাসার অন্য দুজন নারীর সাথে কথা বলছিলেন। তবে এরপর থেকে তিনি আর কোনো কথা বলেননি। রহিমা বেগমকে আমরা আপাতত ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখবো। যেহেতু মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে, ভিকটিমকে আমরা পিবিআইয়ের কাছ হস্তান্তর করবো।  

এরআগে নিখোঁজের ২৯ দিন পর শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) খুলনা নগরের দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকা থেকে নিখোঁজ রহিমা বেগমকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। নিখোঁজের ২৯ দিন পর শনিবার ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।

গত ২৭ আগস্ট রাত ১০টার দিকে খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপাড়া এলাকার বাসার উঠানের নলকূপে পানি আনতে যান রহিমা বেগম। কিন্তু এক ঘণ্টা পরও তিনি বাসায় না ফেরায় তার সন্তানেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। নলকূপের পাশে তাদের মায়ের জুতা, ওড়না ও পানির পাত্র পড়ে থাকলেও মাকে তারা খুঁজে পাননি। এ ঘটনায় ওই রাতেই রহিমা বেগমের ছেলে দৌলতপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরদিন তার মেয়ে আদুরী আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলা করেন। এ ছাড়া বিষয়টি র‌্যাবকেও জানানো হয়। এ মামলায় ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মায়ের সন্ধান চেয়ে ঢাকায় মানববন্ধনের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে দৌড়ঝাঁপ করে আসছিলেন সন্তানরা।

আরও পড়ুন: খুলনা থেকে কীভাবে ফরিদপুর গেলেন রহিমা বেগম

এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বওলা গ্রামের ঝোপ থেকে উদ্ধার হওয়া লাশটি নিজের মায়ের বলে দাবি করেছিলেন মরিয়ম মান্নান। ‘লাশ শনাক্তে’ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তিনি ফুলপুর থানায় যান। এ সময় মরিয়ম লাশটি তাঁর মায়ের দাবি করে নিয়ে যেতে চান। সেখানে লাশের পরিহিত কাপড় দেখেন। এরপর মরিয়ম দাবি করেন, লাশটি তার মায়ের। পরে মরিয়ম মান্নান ফুলপুর থানায় ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেন।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!