Feni (ফেনী)Uncategorized

আপেল-ডালিম সংকেতেই ইমিগ্রেশন পার ভ্রমণ ভিসার যাত্রী!

# অতিরিক্ত টাকা দিয়ে সমাধান হয় সব ঝামেলা
# ৭ ধাপে হয়রানিতে অতিষ্ঠ প্রবাসীরা
# ভুল ঠিকানার পাসপোর্টে লাশ দেশে আসেনি অনেকের
# আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘উন্নত’ সেবা না পেয়ে হতাশ
# পদে পদে হয়রানির পরিত্রাণ চায় রেমিটেন্স যোদ্ধারা

মো: এমদাদ উল্যাহ : রেমিটেন্স যোদ্ধা। বিদেশে কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠানো প্রবাসীরাই ‘রেমিটেন্স যোদ্ধা’ হিসেবে পরিচিত। পরিবারের সদস্যদের সুখের কথা চিন্তা করেই ‘দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান’ প্রবাসীরা কোটি কোটি টাকা রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন। অর্থনীতির চাকা সচল করাসহ দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে রেমিটেন্স যোদ্ধারা। বিশেষ করে করোনা মহামারীর সময়ে রেমিটেন্স যোদ্ধারাই গরীব ও অস্বচ্ছল মানুষদের সহযোগিতা করেছেন। তাদের অবদান অতুলনীয়। দেশের ক্রান্তিকালে প্রবাসীরাই এগিয়ে এসেছেন। যাদের ঘামে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল হচ্ছে, তারাই বিদেশ যেতে বা ফিরতে পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। পাসপোর্ট করা থেকে শুরু করে বিদেশ যাওয়া-আসা সব ক্ষেত্রে হয়রানি ভোগ করতে হয় তাদের। দীর্ঘদিন ধরে পাওয়া ভুক্তভোগী প্রবাসীদের অভিযোগ তুলে ধরা হলো;

দালাল ছাড়া পাসপোর্ট হয় না: প্রবাসে গমনের জন্য প্রথম ডকুমেন্ট হলো ‘পাসপোর্ট’। দেশের কোথাও ‘দালাল’ ছাড়া নতুন বা পুরাতন পাসপোর্ট রি-ইস্যু করা যাচ্ছে না। ভুক্তভোগীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ-নিজে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অনলাইনে আবেদন করে ফিঙ্গার ও কাগজপত্র পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে গেলে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলেন, ‘ভুল হয়েছে’ ঠিক করে আবার আসুন। অথচ অনলাইন আবেদনের প্রিন্ট পেপারে দালালদের ‘কোড নাম্বার সম্বলিত সিল’ থাকলে সব কিছু ঠিক আছে বলে ফিঙ্গার নিয়ে নেয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, এক মাসের মধ্যে পেতে একটি পাসপোর্টের জন্য সরকারি জমা ৫৭৫০ টাকা। কিন্তু দালালদের দিতে হয় ৮৫০০ টাকা। বাড়তি দিতে হয় ২৭৫০ টাকা। কথিত আছে, বাড়তি ২৭৫০ টাকা তিন ভাগ হয়। এরমধ্যে পাসপোর্ট অফিস ১০০০ টাকা, পুলিশ ১০০০ টাকা এবং দালাল ৭৫০ টাকা। এছাড়াও এমআরপি পাসপোর্টের সাথে আইডি কার্ডে নামের একটি অক্ষর ভুল হলে ই-পাসপোর্ট করার সময় ‘ব্যাকেন্ড’ কাটার নাম করে আরও ৪-৮ হাজার টাকা বাড়তি নেয় দালালরা। এক কথায়-অতিরিক্ত টাকা দিয়েই সমাধান হয় পাসপোর্ট সংক্রান্ত সব ঝামেলা।

ভিসা দালালদের দৌরাত্ম্য কমছে না: কাজী সাজ্জাদ হোসেন। বরিশাল গৌরনদী এলাকার বাসিন্দা। সৌদিআরবের ভিসার জন্য এক দালালকে ৪ লক্ষ টাকা দেয়। এরপর সে মেডিকেল চেকআপ করলে ফিট হয়। মেডিকেল ফিটের মেয়াদ ৩ মাস শেষ হলেও তাঁর পাসপোর্টে ভিসা লাগেনি। অনেক শালিশ বৈঠকের পর দালাল থেকে ৩ লক্ষ টাকা ফেরত পায়। লোকসান হয় ১ লক্ষ টাকা। ওই টাকা দেয় আরেক দালালকে। তিনি পরের দিনই একটি ট্রাভেলস্ এজেন্সীতে ভিসা ওকালা করেছে বলে প্রতারণা করে। প্রায় এক মাস পর গত ৫ ডিসেম্বর আরেকটি ট্রাভেলস্ এজেন্সীতে ভিসা ওকালা করে। কাজী সাজ্জাদ হোসেনের মত শত শত যুবক এভাবে প্রতিনিয়ত হয়রানি ও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। অপরদিকে ‘ফ্রি ভিসা’ নামে কোন ভিসা না থাকলেও ফ্রি ভিসা বলে দালালরা বিদেশগামীদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রবাসে পৌঁছানোর পর ইকামা করে না দিয়ে উল্টো নির্যাতন করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে অনেক দালালের বিরুদ্ধে।

বিএমইটি কার্ড জটিলতা: মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান বাংলাদেশের শ্রমিকদের বিশাল শ্রমবাজার। দালালদের মাধ্যমে ভিসা উঠিয়ে প্রতিদিন শত শত যুবক ওমানে যাচ্ছেন। কোন প্রকার এগ্রিমেন্ট বা চুক্তিনামা ছাড়াই বাংলাদেশে তৈরি ‘ভুয়া’ এগ্রিমেন্ট করে বিএমইটি কার্ড করতো অসাধু কর্মকর্তা ও প্রভাবশালী ট্রাভেল এজেন্টরা। এজন্য প্রত্যেককে গুণতে হয়েছে ১৫-২০ হাজার টাকা করে। দীর্ঘদিন ধরে ওমান বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে অভিযোগ পেয়ে গত অক্টোবর মাস থেকে ভুয়া এগ্রিমেন্টে বিএমইটি কার্ড প্রিন্ট করা বন্ধ রয়েছে। অক্টোবর ও নভেম্বর মাস ভুয়া এগ্রিমেন্টে বিএমইটি কার্ড প্রিন্ট বন্ধ থাকলেও ডিসেম্বর মাসে কতিপয় ট্রাভেল এজেন্টরা অসাধু কর্মকর্তাকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে বিএমইটি কার্ড প্রিন্ট করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রেজাউল করিম নামের যুবক একটি ট্রাভেলস্ এজেন্সীর মাধ্যমে বৈধ এগ্রিমেন্ট ছাড়াই গত ১২ ডিসেম্বর বিএমইটি কার্ড হাতে পেয়েছে। এছাড়াও অসাধু কর্মকর্তারা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে দুবাই ভ্রমণ ভিসার যাত্রীরও বিএমইটি কার্ড করে দেয়ার অনেক অভিযোগ রয়েছে।

গ্রুপ টিকেটের নামে ‘ভুয়া টিকেট’ বাণিজ্যের দৌরাত্ম্য: বিএমইটি কার্ড পাওয়ার পর বিদেশ গমনে নিয়ম অনুযায়ী বিমান টিকেট কাটতে হয়। এক্ষেত্রে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে থাকা ট্রাভেলস্ এজেন্ট ও দালালরা গ্রæপ টিকেটের নামে বিদেশগামীদের হয়রানির শেষ নেই। নভেম্বর মাসে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাবুর্চি এলাকার বাসিন্দা একরাম হোসেনকে সৌদিআরবের রিয়াদ যেতে ঢাকার এক ট্রাভেল এজেন্ট প্রথমে ১০ নভেম্বর সালাম এয়ারের টিকেট দেয়। ৯ নভেম্বর বলে টিকেটটি ক্যান্সেল হয়ে গেছে। দ্বিতীয়বার ১৪ নভেম্বরের এমিরেটস্ বিমানের টিকেট দেয়। ১৩ নভেম্বর বলে ওই টিকেটও ক্যান্সেল হয়ে গেছে। এমন খবর পেয়ে একরাম হোসেন তাঁর পরিচিত কয়েকজনকে নিয়ে ট্রাভেলস্ অফিসে গেলে আরও ২০ হাজার টাকা বেশি নিয়ে ১৯ নভেম্বর গালফ্ এয়ারের টিকেট দেয়। এ টিকেটেই একরাম হোসেন সৌদিআরব পৌঁছায়। একরাম হোসেনের মত অনেকেই ট্রাভেলস এজেন্ট বা দালালদের মাধ্যমে ‘গ্রæপ টিকেট’ বাণিজ্যে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ।

ইমিগ্রেশনে হয়রানির শেষ নেই : গত ১০ নভেম্বর রিদোয়ান আহমেদ ও তোফায়েল নামে দুই ব্যক্তি ভ্রমণ ভিসায় চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে দুবাই যান। আগে থেকেই ট্রাভেলস্ এজেন্টের মাধ্যমে ইমিগ্রেশনে কর্মরত উর্ধ্বতন ব্যক্তির কাছে দুইজনের জন্য ১৫০০০ টাকা করে জমা দেওয়া হয়। বোর্ডিং পাশ হাতে নিয়ে ইমিগ্রেশনে যাওয়ার পথে ট্রাভেলস্ এজেন্ট থেকে কল দিয়ে বলে একটু অপেক্ষা করুন। কিছুক্ষণ পরে আবার বলে ইমিগ্রেশন পুলিশ যেখানে সিল দেয় সেখানে বলবেন, ‘ডালিম’। তাহলে আর কিছুই জিজ্ঞেস করবে না। একইভাবে তোফায়েল বললেন ‘আপেল’। দুইজনই সহজে ইমিগ্রেশন শেষ করে বিমানে উঠে দুবাই পৌঁছায়। অপরদিকে সাগর নামে অন্য এক যুবক কন্ট্রাক্ট না করায় দুবাই যেতে পারেনি। তাঁর টিকেট নন রিফান্ডেবল হওয়ায় পুরো টাকাই শেষ। বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের বাইরে সাগর ও তাঁর স্বজনরা কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরেছেন। ভ্রমণ ভিসায় নতুন দুবাই যাওয়ার সময় দুবাইতে যাদের বাবা বা আপন ভাই নাই তাদের প্রত্যেকের ‘এয়ারপোর্ট কন্ট্রাক্ট’ এর রীতি এখন ওপেন সিক্রেট। এক কথায়-কন্ট্রাক্ট থাকলে আপেল, ডালিম বা এমন আরও অনেক সংকেত দিয়ে ইমিগ্রেশন পার হয় ভ্রমণ ভিসার যাত্রী।

ছুটিতে দেশে আসলেও বিমানবন্দরে হয়রানি : বিমানবন্দরে প্রবেশ করেই বেশিরভাগ প্রবাসী ‘রেমিটেন্স যোদ্ধা’ হয়রানির মুখে পড়েন। কাস্টমস, ইমিগ্রেশন পুলিশের সঙ্গে দালাল ও প্রতারকচক্র তাদের পদে পদে হয়রানি করেন। হাতিয়ে নেন মূল্যবান জিনিসপত্র। চান নগদ ডলার বা পাউন্ড। নানামুখী অত্যাচারের শিকার প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরে এসব নিয়ে অভিযোগ করলেও সংশ্লিষ্ট কারো টনক নড়ছে না। গত ১৭ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরেছেন বাহরাইন প্রবাসী মোহাম্মদ সুমন। বিমানবন্দরের টার্মিনালের বাইরে পরিবারের লোকজন এসেছে তাকে নিতে, কয়েজন আনসার সদস্যের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। ভিতরেও সুমনকে ভোগ করতে হয় নানামুখী হয়রানি। বের হয়ে টেক্সি ভাড়া নিতে চাইলে তারা লাগেজ নিয়ে টানাটানি করে। মোহাম্মদ সুমনের মতো হাজারো প্রবাসী প্রতিদিন শিকার হন এমন হয়রানির। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেও বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি বন্ধের ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা থাকলেও কিছুতেই হয়রানি বন্ধ হচ্ছে না। মোহাম্মদ সুমন অভিযোগ করেন, ‘বিমানবন্দরে প্রবেশের মোড় থেকেই শুরু হয় যাত্রী হয়রানি। যাত্রীসেবায় নিয়োজিত কাস্টমস, ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা, পুলিশ ও বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্বরতদের একটা বড় অংশ নিয়মিত যাত্রী হয়রানি করছে’।

ভুল তথ্যের কারণে আবদুল রহিমের লাশ দেশে আনা যায়নি : সৌদিআরব প্রবাসী আবদুল রহিম। পাসপোর্টে তাঁর ঠিকানা কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাগৈ গ্রাম এবং ডাকঘর বাগিচাঁগাও উল্লেখ করা হয়। তিনি গত ১১ সেপ্টেম্বর সৌদিআরবে মৃত্যুবরণ করেছেন। তাঁর লাশ সৌদিআরব অথবা বাংলাদেশে এনে দাফন করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত সনদ দূতাবাসে দাখিল করতে হয়। সেখানে রয়েছেন আবদুল রহিমের ভাগিনা খোরশেদ আলম। লাশ দাফনের জন্য হাসপাতাল ও দূতাবাসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেওয়ার কথা বললে তিনি আঁতকে উঠেন। কারণ-পাসপোর্টে উল্লেখিত ঠিকানায় আবদুল রহিমের পরিবার বা স্বজনেরও কোন অস্তিত্ব নেই। তার সঠিক ঠিকানা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে। তিনি ২০১০ সালে দালালের মাধ্যমে ‘ভুয়া ঠিকানা’ উল্লেখ করে পাসপোর্ট বানিয়েছেন। পরে আবদুল রহিমের ভাগিনা খোরশেদ আলম সৌদিআরবে চৌদ্দগ্রামের প্রবাসীদের সাথে যোগাযোগ করেন। এক পর্যায়ে ‘চৌদ্দগ্রাম প্রবাসী সূর্য সন্তান’ নামক সংগঠনের সভাপতি জাকির হোসেনের সহায়তায় দূতাবাসে থাকা তার বন্ধুর মাধ্যমে ‘বিশেষ অনুরোধ’-এ কাগজপত্র ঠিক করে সৌদিআরবেই আবদুল করিমের লাশ দাফন করেন। ঠিকানা ভুল থাকায় আবদুল রহিমের লাশ দেশে আনা বা পরিবার ওয়েজ আনার্স বোর্ডের অনুদান পাওয়ার আবেদনই করতে পারেনি। শুধু আবদুল রহিমই নয়, ভুল ঠিকানার কারণে শত শত প্রবাসী ছুটিতে দেশে এসে এমআরপি পাসপোর্ট থেকে ই-পাসপোর্ট করতে নানা ধরনের সমস্যা ভোগ করছেন। বঞ্চিত হচ্ছে বিভিন্ন সুবিধা থেকে। এছাড়া অবৈধপথে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়া প্রবাসীদেরও মৃত্যুর পর ‘বৈধ’ কাগজপত্র না থাকায় লাশ দেশে আনা সম্ভব হয় না।
তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা সব সময়ই তাদের বিরুদ্ধে প্রবাসী রেমিটেন্সযোদ্ধাদের অভিযোগ অস্বীকার করেন।

ব্র্যাক ড্যানিশ দূতাবাসের সহায়তায় ‘সোশিও-ইকোনোমিক রিইন্টিগ্রেশন অব রিটার্নি মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স অব বাংলাদেশ’ ফেইজ-২(অনুপ্রেরণা) এর চৌদ্দগ্রামের ফিল্ড অর্গানাইজার মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন, ‘প্রবাসীদের সেবা দিতে সারাদেশেই ব্র্যাকের কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া সম্ভাব্য অভিবাসী, প্রবাসী কর্মী এবং তাদের পরিবারের সদস্যসহ যে কেউ ব্র্যাকের +৮৮০১৭০০৭৯৭১৮২, সরকারিভাবে প্রবাসবন্ধু কল সেন্টারের ০১৭৮৪৩৩৩৩৩৩ ও ০১৭৯৪৩৩৩৩৩৩ নম্বরে এবং বিদেশ থেকেও +৯৬১০১০২০৩০ নম্বরে ফোন করে অভিবাসন সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য সেবা পাবে। তিনি আরও বলেন, ‘নিজের জীবন এবং পরিবারের কথা চিন্তা করে প্রত্যেক সম্ভাব্য অভিবাসীর উচিত-উন্নতির জন্য বৈধভাবে বিদেশ যাওয়া। এতে করে পরবর্তীতে আইনী সহায়তা পাওয়া সহজ হবে এবং সকলক্ষেত্রে হয়রানি কমে যাবে’।

সম্প্রতি প্রবাসীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাজী শেখ ফরিদ। ‘সামাজিক উন্নয়নে প্রবাসীদের ভুমিকা ও নানামুখী হয়রানি থেকে পরিত্রাণের উপায়’ নিয়ে নভেম্বর মাসে চৌদ্দগ্রামের প্রবাসী নারী-পুরুষ কর্মী, অভিবাসন সহায়তাকর্মী ও মিডিয়াকর্মীদের সাথে পরামর্শ সভা করে অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের পাসপোর্ট, বিএমইটি, ইমিগ্রেশন ও দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বেতন উন্নত দেশগুলোর মতো বেশি হলে হয়রানি অনেকাংশে কমে যাবে। কারণ-বেতনের তুলনায় কর্মকর্তাদের ব্যয়ের পরিমাণ বেশি হওয়ায় প্রত্যেকে হিমশিম খাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে তারা অনিয়মের আশ্রয় গ্রহণ করেছে। এক কথায়-বেতন বৃদ্ধি করে অনিয়মকারিদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর শাস্তি প্রদান করলে সব ধরনের হয়রানি বন্ধ হয়ে যাবে’। এমনই মতামত দিয়েছেন কুমিল্লা জেলা নারী নেত্রী ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা আখতার।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!