বিনোদন

আবারও চেয়ারম্যান ডা. মকবুল

<![CDATA[

বগুড়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮৭৪ ভোট পেয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন ডা. মকবুল হোসেন। নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত এ প্রার্থী। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বগুড়ার ১২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বেসরকারি ফলাফলে নির্বাচনে ডা. মকবুল হোসেনের বিজয় নিশ্চিত করেছেন সহকারী রিটার্নিং অফিসার এ এস এম জাকির হোসেন।

তিনি জানান, জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগণনার হার শতকরা ৯৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। বগুড়ার ১২ উপজেলার ১২টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৬২৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ হাজার ২৪০ জন এবং নারী ৩৮৩ জন। এর মধ্যে গণনায় ১ হাজার ৫৯৫টি ভোট বৈধ ঘোষণা করা হয়। অবৈধ ঘোষণা করা হয় ৫টি ভোট। নির্বাচনে ১২ কেন্দ্রে ডা. মকবুল হোসেন আনারস প্রতীক নিয়ে মোট ভোট পেয়েছেন ৮৭৪টি। চেয়ারম্যান পদে তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মান্নান আকন্দ। নির্বাচনে তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৭২১টি।

আবদুল মান্নানকে গত ২১ সেপ্টেম্বর মারপিট ও হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে পাঠান আদালত। কারাগারে থেকে নির্বাচনে অংশ নেন তিনি।

আরও পড়ুন: একটি ভোটও পেলেন না সিরাজগঞ্জের ৭ প্রার্থী!

ডা. মকবুল হোসেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি। ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি বগুড়া জেলা পরিষদে প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০১৭ সালে জেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে ভোট করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। মেয়াদ শেষে ২০২২ সালে আবার প্রশাসকের দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, বগুড়ার ১২ ওয়ার্ডে মোট ৩৪ জন সাধারণ সদস্য প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আর সংরক্ষিত ৪টি ওয়ার্ডের মোট প্রার্থী ছিলেন ১৬ জন। এর মধ্যে ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সদস্য প্রার্থী নির্বাচিত হন।

সাধারণ সদস্য পদে ভোটে বিজয়ীরা হলেন- ১ নম্বর ওয়ার্ডে তালা প্রতীকে তালা প্রতীকে ছামছুন্নাহার বানু, ২ নম্বর ওয়ার্ডে তালা প্রতীকে সৈয়দ সার্জিল আহমেদ টিপু, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তালা প্রতীকে মোছা. নাছরিন রহমান, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে অটোরিকশা প্রতীকে মো. মুকুল, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তালা প্রতীকে একেএম আসাদুর রহমান দুলু, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে হাতি প্রতীকে মোস্তাফিজার রহমান, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে হাতি প্রতীকে এএমএম ফজলুল হক, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে হাতি প্রতীকে আব্দুল্লাহেল বাকী, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে উটপাখি প্রতীকে আব্দুর রশিদ ফরাজি এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডে উটপাখি প্রতীকে আবুল হাসান মো. আশরাফুদ্দৌলা।

আরও পড়ুন: স্ত্রীর ভোটও পেলেন না সদস্যপ্রার্থী

সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বিজয়ীরা হলেন— ১ নম্বর ওয়ার্ডে হরিণ প্রতীকে মোছা. মাহফুজা খানম, ২ নম্বর ওয়ার্ডে ফুটবল প্রতীকে শামীমা আক্তার মুক্তা, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে দোয়াত কলম প্রতীকে সুমাইয়া খানম, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মাইক প্রতীকে আসমা বেগম।

জেলা পরিষদের এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দলীয়ভাবে আগেই দিয়েছিল বিএনপি। তবে ভোটের আগে দলটির অনেক নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের গণসংযোগে দেখা গেছে। এ নিয়ে দলীয়ভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশও পেয়েছেন অনেক নেতাকর্মী। তা সত্ত্বেও ভোটের দিনে প্রায় সবকটি কেন্দ্রেই বিএনপির নেতাদের উপস্থিতি দেখা গেছে।

নির্বাচনে ১২ কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসার ছিলেন ১২ জন। সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে ২৪ জন, পোলিং অফিসার হিসেবে ৪৮ জন এবং ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা হিসেবে ৮৪ জন দায়িত্ব পালন করেন।

এ ছাড়াও জেলা পরিষদের এ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতি কেন্দ্রে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, র‍্যাব, আনসার ও বিজিবি দায়িত্ব বাহিনী দায়িত্ব পালন করেন।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!