বাংলাদেশ

আবৃত্তি একাডেমির প্রযোজনা যুগলসন্ধি মঞ্চায়িত

<![CDATA[

মানবজীবনে প্রেম-ভালোবাসা, দুঃখ-বিরহ চিরায়ত। কবিগুরুর ভাষায়- ‘তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি শতরূপে শতবার, জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার’। আবৃত্তি প্রযোজনা ‘যুগলসন্ধি’তে স্থান পেয়েছে মানুষের জীবনের প্রেম-ভালোবাসা, দুঃখ-বেদনা, আশা-নিরাশা সম্পর্কিত এমন কিছু কবিতা। সাথে দুটো গানের কিছু অংশ।

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত, নৃত্যকলা ও আবৃত্তি মিলনায়তনে মঞ্চায়িত হয়েছে আবৃত্তি একাডেমির ৬৬তম এই প্রযোজনা।

সংগঠনটির দুই যুগপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী আবৃত্তি উৎসবের প্রথম দিনে ছিল এ আয়োজন। যুগলসন্ধি প্রযোজনায় কণ্ঠ প্রয়োগ করেছেন আবৃত্তিশিল্পী মৃন্ময় মিজান, মাসুদ আহম্মেদ, সারমিন ইসলাম জুই, দিলসাদ জাহান পিউলী, কামরুল ইসলাম জুয়েল, হিমাদ্রী মোর্শেদ, আরমিনা নিম্মি, ফেরদৌসী প্রবর্তনা , আশরাফুল আলম, ওয়াদুদ ফারুক,  আব্দুস সালাম, মো. ইসহাক আলী, হাসান মাহমুদ, মাহবুব মেনন, তাহমিনা লিজা, মো. আল-আমিন, তাসনিম সুলতানা বুশরা, তানবীন তনু, মাসুদ মনিরুল ও সুমাইয়া বেগম প্রমুখ।

প্রযোজনাটির নির্দেশক দিলসাদ জাহান পিউলী বলেন, এই ইট-কাঠের জীবনে কিছুটা সময় কবিতাময় হোক। দর্শক শ্রোতার ভালোলাগার ওপর নির্ভর করছে আমাদের প্রচেষ্টার স্বার্থকতা। একটির প্রযোজনার নির্দেশনা দিতে গিয়ে বারবার মনে হয়েছে করোনাকালীন স্থবিরতা আমাদেরকে কিছুটা আড়ষ্ট করে দিয়েছে। সেইসব প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আবার আমরা প্রাণোচ্ছল চর্চায় নিমগ্ন হওয়ার প্রত্যাশা রাখি।

আবৃত্তি একাডেমির দুই দিনব্যাপী এই আবৃত্তি উৎসব উদ্বোধন করেন নাট্যকার মামুন রশিদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা ছিল বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। অসুস্থতার কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি। বিশেষ অতিথি ছিলেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমদ, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। সভপাতিত্ব করেন আবৃত্তি একাডেমির সাবেক পরিচালক মৃন্ময় মিজান।

আবৃত্তি একাডেমির পরিচালক কামরুল ইসলাম জুয়েল বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতির কারণে আমরা গত দুইবছর সরাসরি মঞ্চে কোনো কাজ করতে পারিনি। সেই কঠিন সময় কিছুটা কাটিয়ে আমরা আবার মঞ্চে দুই দিনব্যাপী এই আবৃত্তি উৎসবের আয়োজন করেছি। এ উৎসবে দুটি প্রযোজনা মঞ্চে আনছি আমরা।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও সাবেক পরিচালক মৃন্ময় মিজান বলেন, দুই যুগপূর্তি আবৃত্তি উৎসব বাস্তবায়ন করার নেপথ্য কলাকুশলিদের প্রতি রইল কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা। আগামী দিনগুলোতে বাঙালি সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশে আবৃত্তি একাডেমি আরও শিল্পসম্মত কাজ করে যাবে-এই প্রত্যাশা রাখি।

তিনি বলেন, ‘উচ্চারিত প্রতিটি কথা হোক শিল্প’ এই স্লোগানকে ধারণ করে দীর্ঘ দুই যুগ (১৯৯৮-২০২২) আবৃত্তি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের প্রাণের সংগঠন আবৃত্তি একাডেমি। এ দীর্ঘ পথপরিক্রমায় কতশত বাধা পেরিয়ে অবিরাম নান্দনিক আবৃত্তি শিল্প চর্চার পথে হেঁটে চলেছে আবৃত্তি একাডেমি।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন শনিবার মঞ্চায়িত হবে মাসুদ আহমেদের নির্দেশনায় আবৃত্তি প্রযোজনা কর্ণবিমর্দন।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!