সিদ্ধান্ত হয়েছে সাতদিন কঠোর লকডাউন হবে। লকডাউন মানে লকডাউন। আমরা চাই একটা কমপ্লিট লকডাউন।করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে রাজশাহী শহরে শুরু হয়েছে সর্বাত্মক লকডাউন। শুক্রবার (১১ জুন) বিকেল ৫টা থেকে এ লকডাউন শুরু হয়েছে। নগরীর প্রতিটি মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। টহলে আছেন র্যাব সদস্যরাও।
লকডাউন বাস্তবায়নে রাজশাহী মহানগর পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশের সদস্যদেরও দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। বিকেল ৫টার সময় নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট এলাকায় লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যান আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক।
এ সময় তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে সাতদিন কঠোর লকডাউন হবে। লকডাউন মানে লকডাউন। আমরা চাই একটা কমপ্লিট লকডাউন।
পরে পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারকে নিয়ে সাহেববাজার ও আরডিএ মার্কেট এলাকা পরিদর্শন করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি পুলিশ সদস্যদের লকডাউনের বিষয়ে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন।
সারাদেশে চলমান লকডাউনের মধ্যেই করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণে বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহী মহানগর এলাকায় সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান। তিনি জানান, শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে আগামী ১৭ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত লকডাউন চলবে।