আর্জেন্টিনার সমর্থনে আফ্রিকা থেকে সাইকেল চালিয়ে কাতারে চার বন্ধু
<![CDATA[
৬ মাস সাইকেল চালিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কাতারে পাড়ি জমিয়েছেন চার বন্ধু। দূরত্বের হিসেবে যা কিনা প্রায় ১১ হাজার কিলোমিটার। প্রিয় দলকে সমর্থন জানাতে এই উন্মাদনা আর্জেন্টিনা সমর্থকদের। মাঠে বসে লিওনেল মেসিদের সমর্থন জানানোর পাশাপাশি তাদের প্রত্যাশা আকাশী-নীল শিবিরের হাতে উঠবে এবারের শিরোপা। কেবল বিশ্বকাপ দেখাই নয়, এই সফরের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের মানুষ সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা ভাঙার উদ্দেশ্য এই ফুটবলপ্রেমীদের।
বিশ্বকাপ যত কাছে আসছে, আর্জেন্টাইন সমর্থকদের উন্মাদনা ততই স্পষ্ট হচ্ছে। যে উন্মাদনার কাছে হার মেনেছে ক্লান্তি কিংবা দূরত্ব। কাঁটা তারের ব্যবধানটাও যে আবেগের সামনে তুচ্ছ।
গল্পের শুরুটা হয় দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনে। মাস ছয়েক আগে ৪ বন্ধু সিদ্ধান্ত নেন কাতার বিশ্বকাপ দেখতে যাবেন সাইকেলে চড়ে। প্রায় ১১ হাজার কিলোমিটারের পথটা তো চাইলেই পাড়ি দেয়া যায় না। তবে প্রেমটা যখন ফুটবলের প্রতি, তখন এতসব সমীকরণ মাথায় থাকে না।
আরও পড়ুন: ভক্তদের ভালোবাসা মেসির ভয়ের কারণ
লেখক, শিক্ষক, ট্রাভেল এজেন্ট আর কন্টেন্ট প্রডিউসার। ৪ ভিন্ন পেশার মানুষের ১৫টি দেশে ১৭৭ দিনের যাত্রা। কখনো পাড়ি দিতে হয়েছে পাহাড়ি পথ, কখনো বা বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় মরুভূমির বিশালতা। তবে রোমাঞ্চকর এমন অভিজ্ঞতার পর, ক্লান্তি ছাপিয়ে আনন্দটাই ছাপ ফেলেছে।
তাদের একজন মাতিয়াস ভিয়ারুয়েল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জটা ছিল সৌদি আরবের মরুভূমি পাড়ি দেয়া। আমাদের ২ হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয়েছে। প্রতিদিন আমাদের দেড়’শ কিলোমিটারের মতো সাইকেল চালাতে হয়েছে।’
সাইকেলে চড়ে বিশ্বকাপ দেখতে গিয়ে নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি এই চার আর্জেন্টাইন। মধ্যপ্রাচ্যের মানুষদের আতিথেয়তায় মুগ্ধ তারা। নিজেদের রোমাঞ্চকর যাত্রা শেষে মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে মানুষদের ভুল ধারণা ভাঙতে চান এই সাইক্লিস্টরা।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের আগে শেষ ম্যাচে বড় জয় মেসি-নেইমারদের
এ বিষয়ে লুকাস লেডজেমা বলেন, ‘মিডিয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের মানুষদের কিছুটা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, তারা খুবই অতিথিপরায়ণ। সবাই খুব উদার, সাধ্য যতটুকুই থাকুক, তারা তাদের খাবার ও পানি আমাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।’
চার বন্ধুর জন্য এমন দীর্ঘ সফরের অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম নয়। এর আগে রিও অলিম্পিক আর রাশিয়া বিশ্বকাপেও সাইকেলে চড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন তারা।
]]>