ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজ জয়
<![CDATA[
এক ম্যাচ হাতে রেখেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তিন ম্যাচ ওডিআই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৭ রানের জয় পেয়েছিল প্রোটিয়ারা। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেটের জয়ে সিরিজটা নিজেদের করে নিল টেম্বা বাভুমার দল। সিরিজ জয়ের দিনে অধিনায়ক বাভুমা করেন তৃতীয় ওডিআই সেঞ্চুরি।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার ব্লুমফন্টেইনে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচটিতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ব্যাটিংয়ে গিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড সংগ্রহ করে ৩৪২ রান। জবাবে ৫ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল ভারত
৩৪৩ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যকে সামনে রেখে ভালো শুরু করে স্বাগতিকরা। ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও টেম্বা বাভুমা উদ্বোধনী জুটিতে করেন ৭৭ রান। ১১.৬ ওভারে অলি স্টোনের বলে ৩১ রান করে ডি কক আউট হন। এরপরে র্যাসি ভ্ন ডার ডুসেনকে সঙ্গে নিয়ে অধিনায়ক বাভুমা ৯১ বলে ৯৭ রানের জুটি গড়েন। এতে প্রোটিয়াদের জয়ের পাল্লা ভারি হতে থাকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার দলীয় ১৭৪ রানে স্যাম কারানের বলে পরিষ্কার বোল্ড আউট হয়ে ফেরেন বাভুমা। ১০২ বল থেকে ১০৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। বাভুমার পরে বেশিদূর যেতে পারেননি ডুসেন। ৩৮ বলে ৩৮ রান করে আদিল রশিদের শিকার হন তিনি। এরপরে দলের হাল ধরেন এইডেন মার্করাম ও হেনরিক ক্লাসেন। দুজনে মিলে ৩৮ বলে করেন ৫৫ রান।
দলীয় ২৩৩ রানে স্টোনের বলে ক্লাসেন আউট হলে মার্করামকে নিয়ে এগিয়ে যান ডেভিড মিলার। মার্করাম-মিলার জুটিতে আসে ৪৯ রান। ৪৩ বলে ৪৯ রান করে আদিল রশিদের বলে আউট হন মার্করাম। এরপরে মার্কো জ্যানসেনকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন মিলার। ২৯ বলে ৩২ রান করে মার্কো এবং ৩৭ বল থেকে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মিলার। তাতে ৫ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন অলি স্টোন এবং আদিল রশিদ।
আরও পড়ুন: সূর্যকুমারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পন্টিং
এ দিন প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ১৯ বলে ৯ রান করে লুঙ্গি এনগিডির বলে আউট হন ওপেনার জেসন রয়। কিছুক্ষণ পরে ১৫ বলে ১২ রান করে ওয়েইন পারনেলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন আরেক ওপেনার ডেভিড মালান। ২০ রান করে ফিরতে হয়েছে ইংলিশ ব্যাটসম্যান বেন ডাকেটকে।
এরপরে হ্যারি ব্রুক ও জস বাটলার মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। দুজনের গড়া ৭৩ রানের জুটি ভাঙেন মার্করাম। ২৭.২ ওভারে দলীয় ১৫৫ রানে মার্করামের বলে ডুসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৭৫ বলে ৮০ রান করা ব্রুক। ব্রুকের পরে মঈন আলিকে নিয়ে শত রানের জুটি গড়েন জস বাটলার। ৮৫ বলে ১০১ রানের এই জুটি ভাঙেন আনরিখ নরকিয়ে। ৪৫ বলে ৫১ রান করা আউট হন মঈন।
এ সময় এক প্রান্ত আগলে ধরে রানের গতি চলমান রাখেন অধিনায়ক জস বাটলার। তিনি শেষ পর্যন্ত অপারিজত থেকে ৮২ বলে ৯৪ রান করেন। বাটলারের রানে ভর করে ৫০ ওভারে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ৩৪২ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন আনরিখ নরকিয়ে।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে আমিরাত-আফগানিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজ
ইংলিশদের পাহাড়সম এই রানকে পাত্তা না দিয়ে পরপর দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে প্রোটিয়ারা। প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ২৯৮ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ৪৪.২ ওভারে ২৭১ রান করতেই গুটিয়ে যায় ইংলিশদের ব্যাটিং ইনিংস। তাতে ২৭ রানের জয় পায় টেম্বা বাভুমারা।
সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে স্থানীয় সময় আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টায়।
]]>




