ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১১
<![CDATA[
ইউক্রেনেজুড়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১১ জন। ইউক্রেনের জরুরি সেবা বিভাগের মুখপাত্র হাতহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ট্যাংক সহায়তা দিতে সম্মত হওয়ার একদিন পর এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলো।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাশিয়ার ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি অঞ্চল লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তবে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী দাবি করেছে, রাশিয়ার নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রের অধিকাংশই ধ্বংস করেছে।
ইউক্রেনের জরুরি সেবা বিভাগের মুখপাত্র ওলেকজান্দর খরুনঝিয়ে হাতহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন দেশটির জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যমের কাছে। দেশটির সংবাদমাধ্য কিয়েভ ইন্ডিপেনডেন্টন খরুনঝিয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদন উল্লেখ করেছে, গত রাত এবং বৃহস্পতিবার সারা দিনে রাশিয়ার নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ২২ জন হতাহত
আরও পড়ুন: ট্যাংকের পর অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানে চোখ ইউক্রেনের
এদিকে, ইউক্রেনের শীর্ষ জেনারেলরা দাবি করেছেন, রাশিয়ার নিক্ষেপ করা ৫৫টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ৪৭টিকেই গুলি করে নামানো হয়েছে। ইউক্রেনের সশস্ত্রবাহিনীর সর্বাধিনায়ক ভ্যালেরি জালুঝনি বলেছেন, ‘কেবল কিয়েভের আকাশ থেকেই অন্তত ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে।’
অপরদিকে, কয়েক মাসের অনিশ্চয়তার পর ইউক্রেনে ট্যাংক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। ট্যাংকের চাহিদা পূরণের আগেই যুক্তরাষ্ট্রের ‘এফ-১৬’-র মতো চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান চেয়ে বসেছে দেশটি।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টা ইউরি স্যাক বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী বাধা হলো অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান না থাকা। এখন আমাদের চাওয়া চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান।’ তিনি আরও বলেন, ‘তারা প্রথমে আমাদের ভারী কামান, হিমার্স রকেট লঞ্চার সিস্টেম ও লেপার্ড ট্যাংক দিতে চায়নি, কিন্তু পরে সবই দিয়েছে। আমাদের আশা, পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়া অন্যান্য সব যুদ্ধাস্ত্র আমরা পাব।’
]]>