ইউরোপে অভিবাসন কি আরও কঠিন হয়ে উঠছে?
<![CDATA[
ভূমধ্যসাগরীয় দক্ষিণ উপকূল থেকে ছুটে আসা মানুষেগুলোর জন্য এ বছরটা ছিল খুবই কঠিন। কোভিড-১৯ মহামারি, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি, ইউরোপীয় অভিবাসন নীতির কাঠামোগত সমস্যা এবং ইউরোপীয় সরকারগুলোর উদ্বেগজনক কিছু নতুন প্রস্তাব এই দিশেহারা মানুষগুলোর সংকট অসহনীয় করে তুলেছে। এতে মানুষের আশ্রয় চাওয়ার জায়গাগুলো সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে ভয়ানকভাবে। তাদের আশার জায়গাগুলো মোটেই আর আগের মতো নেই।
এই সেপ্টেম্বরে সুইডেনের সাধারণ নির্বাচনে অতি-ডান সুইডেন ডেমোক্র্যাট পার্টি ২০ শতাংশ ভোটে জিতেছে। এতে অনেকে দেশে জাতীয়তাবাদ এবং অভিবাসনবিরোধী মনোভাব উত্থানের আশঙ্কা করছেন। এমনকি অভিবাসীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে পরিচিত দেশগুলোও এখন অভিবাসনবিরোধী নানান পরিকল্পনা করছে।
ডেমোক্র্যাটদের মতো সুইডেনের নেটিভিস্ট পার্টিও অভিবাসীদের হুমকি মনে করে, তাদের জাতীয় পরিচয়ের জন্য। তারা এরইমধ্যে পুরো ইউরোপজুড়ে অভিবাসনবিরোধী প্রচার অভিযান শুরু করেছে।
একইভাবে, ইতালির নুতন প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিও ভাবছেন অনেক কিছু। উদ্বাস্তু ও নথিভুক্তহীন অভিবাসীদের গন্তব্যের প্রধান জায়গাগুলোতে প্রতিবন্ধকতা তৈরির জন্য সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদার করার পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। মেলোনি আসলে তার দেশের মানুষের অভিবাসনবিরোধী মনোভাব কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। তিনি আগেই বলেছিলেন, আগত অভিবাসীরা ইতালির জাতিগত পরিচয়কে দুর্বল করে দিচ্ছে। সুইজারল্যান্ড এবং অস্ট্রিয়াও বলছে একই ধরনের কথা।
আসলে পুরো ইউরোপে এখন অভিবাসনবিরোধী মনোভাব বেশ প্রবল হয়ে উঠেছে। কারণ অভিবাসীরা বেশ কম মজুরিতে কাজ করেন। স্থানীয়রা এটাকে তাদের জন্য অসুবিধার বলে মনে করেন। কেননা, এতে তাদের কাজের সুযোগ-সুবিধা কমে আসছে। ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক ঝুঁকিও বাড়ছে। তাছাড়া, তারা মনে করেন, অভিবাসীরা তাদের সামাজিক কল্যাণ ব্যবস্থায় বোঝা বাড়িয়ে তুলছে।
ফ্রান্সে মুসলমান
ফ্রান্সে ৫০ লাখের বেশি মুসলমান রয়েছেন। এদের অর্ধেকরও বেশি অভিবাসী। ফ্রান্স চায়, যাতে তাদের জাতীয় সংস্কৃতির ওপর মুসলমানদের কোনো প্রভাব না পড়ে। তারা জোর দিয়েই ‘সমজাতীয়করণের’ চেষ্টা চালাচ্ছে। ফ্রান্স সবসময় গর্ব করে তাদের জাতীয় ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক ‘শ্রেষ্ঠত্ব’ নিয়ে। ফরাসি মন্ত্রী ক্লদ গুয়েন্ট এই ধারণাকে জোর দিয়ে বলেছেন, ‘২০২২ সালে, সব সংস্কৃতি আর সমান মূল্য বহন করে না।’
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৪৮ অভিবাসী আটক
যাই হোক, ফরাসি সাংস্কৃতিক শ্রেষ্ঠত্বের অহংকার শুধু শিক্ষামূলক পাঠ্যক্রমের মাধ্যমেই মাথাচাড়া দিয়েছে, তা নয়; ফরাসি জনগণের সংস্কৃতির সাথে খাপ খায় না এমন জীবনধারাও তাদেরকে ভাবিয়ে তুলছে।
ইউরোপীয় অভিবাসনবিরোধী প্রতিক্রিয়া প্রাথমিকভাবে উদ্বাস্তুদের লক্ষ্য করে। দক্ষ অভিবাসীরা এক্ষেত্রে খুব কমই বৈষম্যের শিকার হয়। ইউরোপীয় অনেক দেশ শ্রমিক সংকটের সম্মুখীন। ফলে উচ্চ দক্ষ অভিবাসীরাই তাদের দেশে ‘অর্থনৈতিক অবদানকারী’ হিসাবে স্বীকৃতি পায়।
যদিও অনেক ইউরোপীয় দেশ দক্ষ কর্মীদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে, তবে তারা শেষ পর্যন্ত অভিবাসীদের স্বাভাবিককরণ প্রক্রিয়ায় উদারতা দেখাতে পারে না। তাদের দেশে নাগরিকত্ব অর্জনের শর্তগুলো খুবই কঠিন করে ফেলেছে। কারণ, তারা মনে করে অভিবাসীরা তাদের নিজেদের সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে ক্ষুণ্ণ করছে।
উদাহরণস্বরূপ, সুইজারল্যান্ডের নাগরিকত্বের জন্য যোগ্য বিবেচিত হওয়ার আগে অভিবাসীদের টানা ১২ বছর ধরে সে দেশে বসবাস করতে হয়। যেহেতু সুইজারল্যান্ডের জন্মগত নাগরিকত্ব নেই, সেহেতু দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের অভিবাসীদের অনেককে এখনও সুইস পাসপোর্ট ছাড়া বসবাস করতে হচ্ছে।
ইউরোপে চলমান অভিবাসনবিরোধী মনোভাবের মূলে রয়েছে সাংস্কৃতিক হুমকির আশঙ্কা। অভিবাসীদের দেখা হয় অসংলগ্ন, পশ্চিমা নিয়ম-আদর্শের ও সংস্কৃতির পরিপন্থী হিসেবে। কারণ তারা পশ্চিমা মূল্যবোধ এবং সংস্কৃতির সাথে খুব সহজে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন না।
ঋষি সুনাক কী বলেন?
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক গেল ৩ ডিসেম্বর অভিবাসন বিষয়ে একটা কঠোর পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছেন। ব্রিটেনে আশ্রয়প্রার্থীদের একটা বড় জট তৈরি হয়ে আছে এরইমধ্যে। তিনি সেটা মোকাবিলা করতে চান। তাছাড়া, বহু আলবেনিয়ান, যারা ব্রিটেনের শরণার্থী মর্যাদা চান, তাদের বেশিরভাগকে দ্রুত ফেরত পাঠাতে চান তিনি। সুনাক আসলে ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে আছেন ইংরেজ উপকূলে ছোটো নৌকায় করে অভিবাসীদের আগমন জোয়ার রোধ করার জন্য। উদ্বাস্তু সংখ্যার ওপর একটা বার্ষিক নিয়ন্ত্রণ (ক্যাপ) টানতে চান তিনি। তাছাড়া সুনাক বিশ্বের কয়েকটি দরিদ্র দেশে যুক্তরাজ্যের সাহায্য বন্ধের ইঙ্গিতও দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বুলগেরিয়ায় বাস থেকে ৭০ অভিবাসী আটক
তিনি বলেন, সেই সব আশ্রয়প্রার্থী, যারা ইংলিশ চ্যানেল বিপজ্জনকভাবে পাড়ি দিয়ে ব্রিটেনে আসেন, তাদেরকে হোটেলের পরিবর্তে অব্যবহৃত অবকাশ পার্ক, পরিত্যক্ত ছাত্র হল এবং উদ্বৃত্ত মিলিটারি সাইটগুলোতে রাখা হবে। কারণ, তাদেরকে হোটেলে রাখতে সরকারের সাড়ে ৫০ লাখ পাউন্ড খরচ হয় প্রতিদিন। তিনি ব্রিটেনে অবৈধ প্রবেশকারীদের আইন করে ঠেকানোর জন্য প্রস্তাব দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সুনাক মনে করেন, তারা যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসেন, তাহলে যুক্তরাজ্য সীমান্তে তার নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।
সুনাক বলেন, এভাবে যারা এ বছর যুক্তরাজ্যে এসেছেন, তাদের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৩০০ জন ছিলেন আলবেনীয়। তাদের প্রায় সবাইকে ফিরে যেতে হবে এক সময়। গত বছর জার্মানি, ফ্রান্স, সুইডেনসহ সবাই আলবেনীয়দের আশ্রয়ের দাবি শতভাগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, কিন্তু আমাদের প্রত্যাখ্যানের হার মাত্র ৪৫ শতাংশ। অক্টোবরে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান বলেন, যুক্তরাজ্যে আশ্রয় ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। কিন্তু জনমত জরিপে দেখা গেছে, সুনাকের ওপর ভোটারদের একটা বড় চাপ রয়েছে এ বিষয়ে।
এ বছর রুয়ান্ডায় আশ্রয়প্রার্থীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করার পরিকল্পনা ঘোষণা দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। কিন্তু সেটা ঝুলে পড়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ করার ফলে। সুতারং কোনো অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হয়নি এ পর্যন্ত। কিন্তু সুনাক রুয়ান্ডানীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকে ফ্রান্সের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে আরও বাস্তবসম্মত পন্থা খুঁজছেন।
ইউরোপীয়দের মনোভাবের এই পরিবর্তন ইঙ্গিত দেয় যে, ইউরোপ নিজেকে আর নিরাপদ মনে করছে না অর্থনৈতিক দিক থেকে। এটা অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের একটা বড় ইঙ্গিত। ইউরোপজুড়ে এখন বাম-ডান সবাই অভিবাসনবিরোধী।
কিন্তু জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মতে, ইউরোপীয়দের আশ্রয়ের আবেদন গ্রহণ বন্ধ করার পদক্ষেপ মূলত আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। ইইউকে তার মৌলিক মূল্যবোধ থেকে মুখ ফিরিয়ে না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন লুক্সেমবার্গের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন অ্যাসেলবর্ন । তিনি বলেন, ‘চোখ বন্ধ করে অমানবিক হওয়া ইউরোপীয় মূল্যবোধবিরোধী। ইইউ’র প্রতিটি সদস্য দেশের অনেক দায়িত্ব রয়েছে।’
বাংলাদেশিরা কী করছেন?
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ বাংলাদেশি বিদেশে বসবাস করছেন। এদেরকে বাংলাদেশি ডায়াস্পোরা অর্থাৎ প্রবাসী বাংলাদেশি বলা হয়। তাদের প্রথম প্রজন্মের অভিবাসীরা আর্থিক অবস্থার উন্নতি কিংবা দারিদ্র্য থেকে বাঁচতে বিদেশ পাড়ি দিয়েছিলেন। বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ অভিবাসী গোষ্ঠী বাংলাদেশের নাগরিক। অর্থাৎ অভিবাসীদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ চতুর্থ স্থানে।
আরও পড়ুন: অবৈধ অভিবাসীদের সুখবর দিল ফ্রান্স
ডিসপ্লেসমেন্ট ট্র্যাকিং ম্যাট্রিক্স (ডিটিএম) ইউরোপের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে ৪ হাজার ৫১০ জন অনিয়মিত বাংলাদেশি সমুদ্র ও স্থলপথে ইতালি, মাল্টা, স্পেন বা গ্রিস হয়ে ইউরোপে এসেছেন। বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে সর্বাধিক আশ্রয়প্রার্থী নিবন্ধিত হয়েছেন ইতালিতে। তাদের স্থল ও সমুদ্রপথে আগমনের হার প্রায় ৯২ শতাংশ। তাছাড়া, একই বছর পশ্চিম বলকান দেশগুলো অতিক্রম করার সময় প্রায় ৮ হাজার ৮৪৪ বাংলাদেশি নাগরিককে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
আন্তর্জাতিক অভিবাসনের ক্ষেত্রে এখনও অর্থনৈতিক বিষয়গুলোই প্রধান। যারা ইউরোপে যাচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগই ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সি। অনেকেই লিবিয়া হয়ে ইউরোপের দিকে এগুতে থাকেন।
জনপ্রিয় ইতালি
সরকারি তথ্য অনুসারে, ইতালিতে প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশি অভিবাসী বসবাস করছেন। তারা কৃষিকাজ, জাহাজ নির্মাণ এবং ফুটপাতের ব্যবসাসহ বিভিন্ন খাতে নিযুক্ত রয়েছেন। ইইউ’র অন্য কোনো দেশে এত বেশি বাংলাদেশি অভিবাসী নেই। জনসাধারণের মধ্যে একটা ধারণা আছে, ইতালি বিদেশিদের প্রতি খুব বন্ধুপ্রতিম। ইতালি মাঝে মাঝে অনিয়মিত অভিবাসী শ্রমিকদের বৈধতা দিয়ে থাকে। যে কারণে অনেকে মনে করেন কোনো না কোনোভাবে দেশটিতে ঢুকতে পারলে কোনো না কোনো এক সময় আইনি মর্যাদা পাওয়া যাবে।
ইউরোপ এমন একটি অঞ্চল, যেখানে পৃথিবীর সবজায়গা থেকে মানুষ এসে বসবাস করতে চায়। তাদের সংস্কৃতি, উন্নতমানের জীবনযাত্রা, সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য, মানসম্পন্ন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সবাইকে সেখানে বেশ টানে।
তবে এশীয় অভিবাসন সম্ভবত অনেকাংশে প্রাক্তন ঔপনিবেশিক সংযোগের কারণে প্রভাবিত। উদাহরণস্বরূপ, ফ্রান্সের বৃহত্তম সম্প্রদায়গুলো ইন্দো-চীনের পূর্ববর্তী উপনিবেশগুলো থেকে আসা। হংকংয়ে ঔপনিবেশিক দখলের কারণে যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি প্রচুর চীনারাও রয়েছে। বাংলাদেশি, পাকিস্তানি এবং ভারতীয় অভিবাসীদের একটি বড় গোষ্ঠী আছে যুক্তরাজ্যে। প্রাক্তন আফ্রিকান উপনিবেশগুলো থেকেও বড় রকমের প্রতিনিধিত্ব দেখা যায় ইউরোপে।
ইউরোপের ভবিষ্যৎ
ইউরোপের অবস্থা এখন মোটেই ভালো নয়। একটা কঠিন বাস্তবতা মোকাবিলা করছে ইউরোপের অর্থনীতি, বিশেষকরে কোভিড মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে। ঝুঁকির ‘ককটেল’ নিয়ে একটা গভীর অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হচ্ছে ইউরোপ। এরইমধ্যে শুরু হলো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। ইউরোপের অর্থনীতিকে ঘিরে সবচেয়ে বড় উদ্বেগ জ্বালানি নিয়ে। কারণ, ইউক্রেনে রুশ অভিযানের পর কঠোর নিষেধাজ্ঞার প্রতিশোধ নিতে মস্কো গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এখনও প্রতিকূলতা বাড়ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ব্যাংক অব আমেরিকার ইউরোপীয় তহবিল ব্যবস্থাপকদের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৮৬ শতাংশ উত্তরদাতা আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে মন্দার আশঙ্কা করছেন।
ইউরোপ চেষ্টা করছে সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ ইউরোপীয় ইউনিয়নকে তার ভূ-রাজনৈতিক তন্দ্রা থেকে জাগিয়ে তুলেছে শেষ পর্যন্ত। রাশিয়ার সাথে বিরোধের মধ্যে দিয়ে ইইউ তার সবচেয়ে সফল যন্ত্রগুলোর মধ্যে কিছু পুনঃআবিষ্কার করেছে। তা হচ্ছে, ইউরোপে শান্তি প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নিশ্চিত করা। তারা দাবি করেন, এসব গত কয়েক দশক ধরে সমৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে চালিকাশক্তি হিসেবে কজ করে এসেছে।
বুন্ডেস্ট্যাগের বৈদেশিক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান মাইকেল রথ যুক্তি দেখিয়েছেন, পশ্চিম বলকান অঞ্চলের ছয়টি দেশকে সদস্যপ্রাপ্তির পথে নিয়ে আসা দরকার। এজন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নেকে আরও বড় ভূমিকা রাখতে হবে।
এমতাবস্থায়, অনেকেই এখন মনে করেন, ইউরোপের এই দুঃসময়ের মধ্যে এশীয় দেশগুলো হয়ত এক সময় অর্থনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
তথ্যসূত্র: বার্কলে পলিটিক্যাল রিভিউ, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ফিনান্সিয়াল টাইম
]]>




