‘ইতিবাচক রফতানি ধারা ডলার সংকটে স্বস্তি ফেরাবে’
বিশ্বমন্দার আশঙ্কার মধ্যেই রফতানিতে দাপট দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। গত অর্থবছরের তুলনায় প্রথম দুই মাসে ২৫ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি আয় হয়েছে। একইসঙ্গে বাজার বেড়েছে পোশাকখাতের। এর ফলে ডলারের সংকট অনেকটাই কেটে যাবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
বিশ্বমন্দার আশঙ্কার মধ্যেই রফতানিতে দাপট দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। গত অর্থবছরের তুলনায় প্রথম দুই মাসে ২৫ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি আয় হয়েছে। একইসঙ্গে বাজার বেড়েছে পোশাকখাতের। এর ফলে ডলারের সংকট অনেকটাই কেটে যাবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
যখন আলোচনা তুঙ্গে মন্দার কবলে বিশ্ব অর্থনীতি তখন আবারও নিজের সক্ষমতার জানান দিল বাংলাদেশ। গত জুলাইতে ৩৯৮ কোটি ৬৯ লাখ ডলার রফতানি আয় ঘরে তোলার পর আগস্টেও রফতানি আয়ের পরিমাণ ৪৬০ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এক মাসের ব্যবধানে আয় বেড়েছে ৬২ কোটি ২২ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) দেয়া প্রাথমিক পরিসংখ্যান বলছে, গত দুই মাস মিলিয়ে দেশে পণ্য রফতানি থেকে মোট ৮৫৯ কোটি ১৮ লাখ ডলার আয় এসেছে। গত বছর একই সময়ে এ আয়ের পরিমাণ ছিল ৮২২ কোটি ডলার। অর্থাৎ বছর ব্যবধানে ২৫ দশমিক ৩১ শতাংশ আয় বেড়েছে।
ইতিবাচক রফতানি ধারা ডলার সংকটে স্বস্তি ফেরাবে বলে মত অর্থনীতিবিদদের। এবিষয়ে অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির বলেন, এ রেকর্ড যদি আরও কয়েক মাস ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে, সেক্ষেত্রে আমরা আমাদের অর্থনীতিতে ডলারের সরবরাহ বাড়াতে পারব। এটি হলে, আমাদের ডলার সংকট কেটে যাবে। একই সঙ্গে চলমান যে চাপটি রয়েছে, সেটিও কমে আসবে।
আয় কমার শঙ্কার মধ্যেই ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে তৈরি পোশাক শিল্প। আগস্টে ৩৭৪ কোটি ৫৮ লাখ ডলারসহ গেল দুই মাসে এ খাত থেকে আয় এসেছে ৭১১ কোটি ২৭ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ ও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। তবে সামনে চ্যালেঞ্জ বাড়ছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ী শামীম এহসান বলেন, তেলের দাম বেড়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা হয়তো ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বা অন্য কোনো উৎস থেকে টাকা নিয়ে ৮০ টাকার তেল ১০০ টাকা দিয়ে কিনব। কিন্তু গ্যাস যদি না পাই। তাহলে তো আমরা আমাদের উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে রাখতে পারব না। একদিকে আমাদের অর্ডার সংকট রয়েছে, অন্যদিকে আমরা গ্যাসের সংকটের কারণে সেই অর্ডারও সরবরাহ করতে পারছি না। এতে বায়ারদের কাছে নেতিবাচক সংকেত যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত দুই মাসে নিরবে বাজার দখলে এগিয়ে যাওয়া হোম টেক্সটাইল খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। যেখানে এ খাত থেকে আয় এসেছে ২৬ কোটি ৮৫ লাখ ডলার।




