খেলা

ইয়াবার চালান নিয়ে ভয়াবহ তথ্য

<![CDATA[

যত ইয়াবার চালান ধরা পড়ছে তার ২০ শতাংশই মানবদেহের পাকস্থলীতে। আর এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নারী-পুরুষ উভয়কে। মাদক কারবারিরা ইয়াবার চালান নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে সবচেয়ে নিরাপদ মনে করে পাকস্থলী, বলছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। সংস্থাটি বলছে, এ ধরনের চোরাচালান রোধ করা তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ।

টেকনাফ থেকে পাকস্থলীতে করে ইয়াবার চালান যাচ্ছে রংপুরে। গোপন খবরের ভিত্তিতে চালানটি জব্দ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা মেট্রো উত্তর অঞ্চল। এতে নারী এবং পুরুষের পেটে পাওয়া যায় ৮ হাজার পিস ইয়াবা।

স্কচটেপ বা পলিথিনে প্যাঁচিয়ে ইয়াবা ঢোকানো হয় কলার মধ্যে। পরে ওই কলা গিলে ঢাকায় চলে আসে পাচারকারীরা। একটি দুটি নয়, পেটের মধ্যে ঢোকানো হয় কখনো কখনো একশটি প্যাকেট। প্রতি প্যাকেটে ইয়াবা থাকে পঞ্চাশটি। অর্থাৎ ৫ হাজার পিস ইয়াবা নিয়ে আসা হয় পেটের মধ্যে।

গত তিন মাসে ঢাকা মেট্রো উত্তর অঞ্চলের অভিযানে দেড় লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার ইয়াবা ধরা পড়েছে মানবদেহের পাকস্থলীতে।

আরও পড়ুন: দুই কেজি সোনাসহ শাহজালালে আটক ২

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা উত্তর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান বলেন, মাদক কারবারিরা ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ইয়াবা তাদের পেটে করে নিয়ে আসে। ইয়াবা পরিবহনে নারী, কিশোর ও বৃদ্ধদেরকেও ব্যবহার করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের তথ্য বলছে, গত ছয় মাসে তাদের অভিযানে জব্দ করা হয়েছে পাঁচ লাখ পিস ইয়াবা। এই ইয়াবার একটি বড় অংশ নিয়ে আসা হয়েছিল পেটে করে।

অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্ল্যাহ কাজল বলেন, পেটে করে ইয়াবা বহন করার বিষয়টি আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বড় চ্যালেঞ্জ। কোনো কারণে যদি পেটের ভেতর সেটা বিস্ফোরণ হয়ে যায়, তখন কিন্তু মৃত্যুর ঝুঁকি হয়ে যায়। এমন মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে কয়েকবার।

আরও পড়ুন: গাঁজার গাছসহ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানপুত্র গ্রেফতার

কর্মকর্তারা বলছেন, শুধু আর্থিক লোভের কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পেটে করে ইয়াবা চোরাচালানের প্রবণতা বাড়ছে।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!