ইরানে ২ তরুণ বিক্ষোভকারীর প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
<![CDATA[
ইরানে চলমান বিক্ষোভে অংশগ্রহণ এবং দেশটির আধা সামরিক বাসিজ বাহিনীর এক সদস্যকে হত্যার দায়ে দুই ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
ইরানের বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, শনিবার (৭ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় ভোরে মোহাম্মদ মেহেদি কারামি (২১) ও মোহাম্মদ হোসেইনি (২০) নামে ওই দুই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
এর আগে ১৩ নভেম্বর ইরানের কারাজ শহরে বিক্ষোভের সময় বাসিজ বাহিনীর সদস্য রুহুল্লাহ আজমিয়ানকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার জন্য কারামি ও হোসেইনিকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। রুহুল্লাহ আজমিয়ানকে হত্যার দায়ে ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তবে কারামি ও হোসেইনি প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন।
বিচার বিভাগের প্রকাশিত ওয়েবসাইটে আদালতে বিচার চলাকালীন বেশ কয়েকটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা গেছে, কারামি ও হোসেইনি হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কারামির বাবার একটি ভিডিও পাওয়া গেছে। এতে তিনি দাবি করেন, তার সন্তান নির্দোষ। জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে ইরানের বিচার বিভাগ কারামির বাবার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
আরও পড়ুন: ইরানের ড্রোন কর্মসূচীর উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
আল-জাজিরা জানায়, হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করা হয়। নয় দিন পর অভিযোগপত্র জারি করা হয়েছিল। মাত্র দু-মাসের মাথায় তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলো। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সতর্ক করে বলেছে, চলমান বিক্ষোভে অংশগ্রহণের দায়ে আরও কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতে পারে।
এর আগে গত ডিসেম্বরে ইরানের মাশহাদে শহরে ক্রেনের মাধ্যমে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী মোহসেন শেকারি ও মাজিদ্রেজা রাহনাভার্দের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। গত বছর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানে বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, চলমান বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
]]>