ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের শত্রুরা ইরানকে ধ্বংস করতে চায়: খামেনি
<![CDATA[
ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি দেশটিতে চলমান বিক্ষোভের সমালোচনা করে বলেন, বিক্ষোভকারীরা ‘ভুল’ করছেন। ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের শত্রুরা ইরানের ভিত্তি ধ্বংস করতে চাইছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
‘ঠিকভাবে’ হিজাব না পরার অভিযোগে গ্রেফতারের পর পুলিশি হেফাজতে তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুতে বিক্ষোভে উত্তাল ইরান। এক মাস পেরিয়ে গেলেও বিক্ষোভকারীরা দমে যাননি। এমনকি বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছে স্কুলশিক্ষার্থীরাও। বিক্ষোভ দমনে গুলি চালাচ্ছে পুলিশ, চলছে গ্রেফতারও। এমনকি বিক্ষোভকারী নারীদের যৌন হয়রানি করছে পুলিশ, এমন অভিযোগও উঠেছে। এ ছাড়া সাংবাদিকদের সুরক্ষা কমিটির মতে, ইন্টারনেট বিধিনিষেধ এবং অন্তত ৪০ জন সাংবাদিককে গ্রেফতারের কারণে বিক্ষোভের তথ্য সংগ্রহ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।
এ অবস্থায় শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) ইরানের ইমাম খোমেনি জামাত হলে বক্তব্য দেয়ার সময় দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি এ বিক্ষোভের ব্যাপক সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের শত্রুরা ইরানের ভিত্তি ধ্বংস করতে ব্যর্থ হবে।
আরও পড়ুন: অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়: ইরান
তিনি আরও বলেন, ‘শত্রুরা ভেবেছিল যে তারা ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের গাছটিকে উপড়ে ফেলতে পারবে। সেই ছোট গাছটি এখন একটি বিশাল বৃক্ষে পরিণত হয়েছে। যদি কেউ এই গাছটিকে উপড়ে ফেলার কথা ভাবেন, তা সম্পূর্ণ ভুল হবে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) খামেনি বলেছিলেন, ইরানে পুলিশি হেফাজতে তরুণী মৃত্যুর প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভ পশ্চিমাদের মদদেই হচ্ছে। আর বিক্ষোভের ঘটনায় সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের দায়ী করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
তবে ইরানের এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে। আর বিক্ষোভ করার জন্য ইরানের নারীদের প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
]]>