উইজডেনের বর্ষসেরা একাদশে জায়গা পেলেন যারা
<![CDATA[
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পারফরম্যান্স বিবেচনায় বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করেছে উইজডেন। এই দলে আধিপত্য বিস্তার করেছে এবারের বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও রানার্সআপ পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। দুই দল থেকেই তিন করে মোট ছয়জন ক্রিকেটার আছেন সেরা দলে। এছাড়া ভারত থেকে দুইজন এবং নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে থেকে একজন করে ক্রিকেটার আছেন।
বছরটা দুর্দান্ত কেটেছে জস বাটলারের। ওয়ানডের পর টি- টোয়েন্টির দায়িত্ব নিয়ে দলকে উপহার দিয়েছেন টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা। সেমিফাইনালে তার ৪৯ বলে ৮০ রানের চমৎকার ইনিংসেই ফাইনালের টিকিট কেটেছিল থ্রি লায়নরা। মেলবোর্নের ফাইনালে তার হাত ধরেই টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরে তারা।
এ বছর ১৫ ম্যাচ খেলা বাটলার করেছেন ৪৬২ রান। স্ট্রাইকরেট ১৬০.৪১। সর্বোচ্চ ৮০ রান। পাকিস্তানের হয়ে চমৎবার একটা বছর পার করেছেন ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। এ বছর ২৫ ম্যাচ খেলা এই পাক ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ৯৯৬ রান। সর্বোচ্চ ৮৮।
এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে ১০০০ রান করা দ্বিতীয় ক্রিকেটার সূর্য্যকুমার যাদব। উইজডেনের বিচারে তিনিও আছেন তালিকায়। এ বছর ট্রেন্ট ব্রিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার ৫৫ বলে ১১৭ রানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি এখন চোখে লেগে আছে সমর্থকরদের। ২০২২ সালে ৩১ ম্যাচ খেলে সূর্য রান করেছেন ১ হাজার ১৬৪। সর্বোচ্চ ১১৭।
২১ ম্যাচে ৭১৬ রান করা গ্লেন ফিলিপসও আছেন উইজডেন সেরা দলে। টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরির পরের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। নিউজিল্যান্ডের এই ব্যাটারও মন জয় করে নিয়েছেন সবার।
আরও পড়ুন: রেকর্ড মূল্যে চেন্নাইয়ে স্টোকস
বিশ্বকাপটা এবারও হাতছাড়া হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। তবে ঠিকই আলো ছড়িয়েছেন ডেভিড মিলার। ভারতের বিপক্ষে অপরাজিত ১০৬ রান করে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় টি- টোয়েন্টি শতক তুলে নেন মিলার। ১৬ ম্যাচ খেলে তিনি করেছেন ৩৬১ রান।
বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের ইতিহাস গড়ার পথে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন সিকান্দার রাজা। ২৪ ম্যাচে এ বছর রাজা করেছেন ৭৩৫ রান। বল হাতেও নিয়েছেন ২৫ উইকেট। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে উইজডেনের বর্ষসেরাতেও আছেন রাজা।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে ফাইনালে তোলার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন শাদাব খান। ২০ ম্যাচে ২০১ রানের পাশাপাশি বল হাতে শাদাবের উইকেট ২৫টি।
আরও পড়ুন: রমিজের বিদায়, পিসিবির দায়িত্ব পেয়ে নিজের মনোভাব জানালেন নাজাম
বিশ্বকাপের প্লেয়ার অব দ্যা টুর্নামেন্ট স্যাম কারান এক কথায় আলো ছড়িয়েছেন ইংল্যান্ডের প্রতিটি ম্যাচে। ইনজুরি থেকে ফিরে এসে এমন চমক দেখাবেন কারান তা স্বপ্নেও ভাবেননি তার সমর্থকরা। কিন্তু এ বছর ১৯ ম্যাচে ২৫ উইকেট নিয়ে সব হিসাব বদলে দিয়েছেন কারান।
ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের আরেক কারিগর আদিল রশিদ। এ বছর টি- টোয়েন্টিতে ২৪ ম্যাচে তার উইকেট ১৯টি।
২০২২ সালে টি টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হারিস রৌফ। ২৩ ম্যাচে তার উইকেট ৩১টি।
এছাড়াও এ দলে আছেন ভুবনেশ্বর কুমারও। ৩২ ম্যাচে তার উইকেট ৩৭টি।
]]>