উইজডেনের বর্ষসেরা তালিকায় মিরাজের সেঞ্চুরি
<![CDATA[
মেহেদী হাসান মিরাজের অলরাউন্ডার স্বত্বা প্রায় ঢাকা পড়েই যাচ্ছিল। কিন্তু ২০২২ এ তিনি নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছেন। বছরজুড়েই দারুণ পারফরম্যান্স দেখয়ে একের পর এক স্বীকৃতি আদায় করে নিচ্ছেন বাংলাদশের এই অলরাউন্ডার। ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে করা মিরাজের সেঞ্চুরিটি এবার জায়গা করে নিয়েছে উইজডেনের দৃষ্টিতে বর্ষসেরা পাঁচ ওয়ানডে ইনিংসের তালিকায়।
২০২১ এ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সেঞ্চুরি করে নিজের ব্যাটিং প্রতিভার জানান দিয়ে রেখেছিলেন মিরাজ। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে দারুণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দেখানো এই ক্রিকেটারকে ধরা হতো সাকিব আল হাসানের উত্তরসূরি হিসেবে। জাতীয় দলে ওই ইনিংসের পর যেন নতুন করে নিজের অলরাউন্ডার স্বত্বাকে আবিষ্কার করেছেন মিরাজ। ২০২২ সালে ওয়ানডে ক্রিকেটেও হেসেছে তার ব্যাট। পরিণত হয়েছেন দলের ক্রাইসিসম্যানে।
ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের নায়ক তো মিরাজই। প্রথম ওয়ানডেতে দল যখন নিশ্চিত হারের মুখে, তখন মুস্তাফিজকে নিয়ে পাল্টা আক্রমণে ১ উইকেটের অবিশ্বাস্য জয় এনে দেন তিনি। তার ৩৮ রানের ইনিংসেই জয় পায় টাইগাররা। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ফের দলের বিপদ চওড়া ব্যাটে সামলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন:উইজডেনের বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশেও মিরাজ
মাত্র ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে মিরাজ পথ দেখান। প্রথমে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে বড় জুটি করেন। পরে নাসুমকে নিয়েও চালিয়ে যান লড়াই। শেষ পর্যন্ত তার কল্যাণেই লড়াকু সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শেষ বলে শতক স্পর্শ করেন তিনি। ৮৩ বলে খেলা ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ৪টি ছক্কা। এই ম্যাচে ৫ রানের জয়ে সিরিজ নিশ্চিত হয়েছিল টাইগারদের।
ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে আট নম্বরে নেমে কোন ব্যাটারের সেঞ্চুরি হাঁকানোর মাত্রই দ্বিতীয় ঘটনা এটি। তার আগে আয়ারল্যান্ডের সিমি সিং আট নম্বরে নেমে শতক হাঁকিয়েছিলেন।
উইজডেনের বর্ষসেরার তালিকায় জায়গা পেয়েছে মিরাজের ইনিংসটি। তালিকার চার নম্বরে আছে এটি। তালিকার শীর্ষে জায়গা পেয়েছে নিউজিল্যান্ডের মাইকেল ব্রেসওয়েলের শতকটি।
মালাহিডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩০০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১২০ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল কিউয়িরা। সেখান থেকে একাই লড়াই করে নিউজিল্যান্ডকে শেষ ওভারে এনে দেন ১ উইকেটের জয়। মাত্র ৮২ বলে ১২৭ রান করেন ৭ ছক্কা ও ১০ চারের মারে।
আরও পড়ুন:৬০ বছরের ইতিহাসে দেশের সেরা ক্রীড়াবিদ সাকিব
দুই নম্বরে আছে ম্যানচেস্টারে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রিশভ পান্তের শতকটি। ২৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৭২ রানে চার উইকেট হারানো ভারতকে ম্যাচটি জেতাতে এই উইকেটকিপার-ব্যাটার ১১৩ বলে খেলেছিলেন ১২৫ রানের অপরাজিত ইনিংসটি।
তালিকার তিনে জায়গা পেয়েছে বাংলাদেস-ভারত সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ঈশান কিশানের হাঁকানো দ্বিশতকটি। চট্টগ্রামে মাত্র ১৩১ বলে ২১০ রান করেছিলেন ঈশান।
মিরাজের ইনিংসটির পর পঞ্চম স্থানে আছে জুনে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলা জস বাটলারের ১৬২ রানের অপরাজিত ইনিংসটি। মাত্র ৭০ বলে খেলা ইনিংসটিতে ছিল ১৪টি ছয়ের মার।
]]>




