উত্তর কোরিয়ার পরমাণু পরীক্ষার বিরুদ্ধে তিন দেশের হুঁশিয়ারি
<![CDATA[
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু পরীক্ষার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। পিয়ংইয়ং সপ্তম পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে যাচ্ছে–সিউলের এমন দাবির পর কিম জং উনের প্রশাসনকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশগুলো। এদিকে মিত্র সিউল ও টোকিওকে রক্ষা করতে সব ধরনের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওয়াশিংটন। খবর রয়টার্সের।
উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় যখন উত্তপ্ত কোরীয় উপদ্বীপ, তখন আবারও মহড়া চালালো দক্ষিণ কোরিয়া। বুধবার (২৬ অক্টোবর) দেশটির নৌবাহিনী বিশাল এই মহড়া চালায়।
পাঁচ বছরে ধরে কোরীয় উপদ্বীপের অবস্থা ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের জাপানকে অতিক্রম করা, আবার তাদের পাল্টা হুঁশিয়ারি সংকেত পাঠাতে দক্ষিণ কোরিয়া আর যুক্তরাষ্ট্রের একের পর এক যৌথ সামরিক মহড়া, সব মিলিয়ে উত্তেজনা বাড়ছেই দুই কোরিয়ার মধ্যে।
আরও পড়ুন: ফের পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালাবে উত্তর কোরিয়া?
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ২৭ বার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলা ও আত্মরক্ষার স্বার্থে প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্রের প্রয়োগ করতেও দ্বিধাবোধ করবে না বলে জানিয়েছে কিম জং উন প্রশাসন।
এবার তারা সপ্তম পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বলে দাবি করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউল। এ অবস্থায় তাদের ধ্বংসাত্মক এ কার্যক্রম থামানোর আহ্বান জানান তিনি।
ইউন সুক ইউল বলেন, ‘আমরা উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে খুবই শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলব। যাতে কোনোভাবেই আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত না হয়। তবে কিম প্রশাসন যদি পরমাণু হামলা বন্ধ করে কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করে, তাহলে তাকে শুধু ধন্যবাদ নয়, আর্থিক সহযোগিতাও দেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: পারমাণবিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অস্ত্র পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করছেন কিম
জাপানের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী তাকিও মোরি বলেন, উত্তর কোরিয়ার ব্যাপক পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি একটি স্পষ্ট ও গুরুতর চ্যালেঞ্জ।
এদিকে পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু অস্ত্রের পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। কিম প্রশাসন যদি কোনো ধরনের ধ্বংসাত্মক পরীক্ষা চালায়, তবে তাদের রুখতে সিউল ও টোকিওকে সামরিক সহযোগিতা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওয়াশিংটন। প্রয়োজনে মিত্র দুই দেশকে পরমাণু সহযোগিতা দেয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
]]>