উত্তেজনার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া সফরে কামালা হ্যারিস
<![CDATA[
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া সফর শুরু করেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল এসে পৌঁছান তিনি। সফরের শুরুতেই প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন কামালা।
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দেয়ার লক্ষ্যে চলতি সপ্তাহে রাজধানী টোকিও পৌঁছান কামালা হ্যারিস। সেখানে তিনি জাপানি কর্মকর্তাদের পাশে দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ঘিরে দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। ওয়াশিংটন ও সিউলের চলমান সবশেষ সামরিক মহড়ার ফলে পুরো অঞ্চল উত্তেজনায় কাঁপছে। এর মধ্যেই সিউল সফর করছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সিউল পৌঁছার পরই প্রেসিডেন্ট ইয়ন সুক ইওলের সঙ্গে বৈঠক করেন কামালা। বৈঠকে কি আলোচনা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে তাইওয়ান পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও অন্যান্য আঞ্চলিক ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ সফরে তিনি দুই কোরিয়াকে বিভক্তকারী ডিমিলিটারাইজড জোন পরিদর্শন করবেন।
আরও পড়ুন: সু চির আরও ৩ বছরের কারাদণ্ড
কামালা হ্যারিসের সফরের মধ্যে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্রকে কঠোর বার্তা দিচ্ছেন উত্তরের নেতা কিম জং উন। কামালা দক্ষিণ কোরিয়ার সফর শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগেই পরপর দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে পিয়ংইয়ং।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী জানায়, বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায় জাপান সাগরে ছোড়া হয় ওই দুটি ক্ষেপণাস্ত্র। এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর একই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় দেশটি।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে পুলিশ স্টেশন বসাচ্ছে চীন: রিপোর্ট
এদিকে পিয়ংইয়ংয়ের এভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাপান। দেশটির প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, গভীর সমুদ্রের অর্থনৈতিক অঞ্চলে পিয়ংইয়ংয়ের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি জাপান।
]]>