উদ্যোক্তা রাজিয়া সুলতানার তৈরি পাটজাত পণ্য রফতানি হচ্ছে বিদেশে
<![CDATA[
পাটের চট ও সুতা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন রকমের পণ্য দেশের গণ্ডি পেরিয়ে রফতানি হচ্ছে বিদেশে। নীলফামারীর সৈয়দপুরের শিক্ষিত গৃহিণী রাজিয়া সুলতানা নিজের ইচ্ছাশক্তির বলে প্রথমে এককভাবে ক্ষুদ্র পরিসরে অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করেন। সে ব্যবসা প্রসারিত হয়ে আজ যেমন বেড়েছে ব্যবসার পরিধি, তেমনি নতুন করে বেশ কয়েকজনের কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হয়েছে।
প্রায় আড়াই বছর আগে করোনার শুরু দিকে সৈয়দপুর শহরের নিয়ামতপুর মুন্সিপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে এককভাবে পাটজাত পণ্য তৈরি করে অনলাইনে বিক্রি শুরু করেন। স্বামীর অনাগ্রহের কারণে মাস্টার্স শেষ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক নিবন্ধন করার পরও চাকরি খোঁজার চেষ্টা করেননি। তবে স্বামীর সমর্থনে বাড়িতে বসে কিছু করার আগ্রহ থেকেই শুরু হয় মুখরোচক খাদ্যপণ্য তৈরি এবং তা অনলাইনে বিক্রি। কিন্তু সেটা বেশিদিন ধরে রাখতে পারেননি। তারপর নিজের সামান্য কিছু জানা কাজ দিয়ে শুরু করেন পাটজাত শোপিস পণ্য তৈরি ও বিক্রি। ক্রমান্বয়ে আরও কিছু প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজের পরিধি বৃদ্ধি করে উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্টের (উই) সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশের বড় বড় শোরুমে পণ্য দিতে থাকেন। এ সময় বিদেশেও রফতানি শুরু করেন।
উদ্যোক্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, পণ্য রফতানির সফলতা সম্মাননা হিসেবে উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট (উই) আমাকে এক্সপোর্টার অব দ্য ইয়ার ঘোষণা এবং পুরস্কৃত করে। আমার এখানে বর্তমানে কুশন কভার, সিকা, দোলনা, শোপিস, ড্রিমক্যাচার, ওয়াল মিরর, ব্যাগ, স্লিপার,পাটের ব্যাগ, প্যাকেজিং ব্যাগ ও ঝাড়বাতি তৈরি হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে জমে উঠেছে পুনাক শিল্প মেলা
তিনি আরও বলেন, নারীরা অলসভাবে বাড়িতে বসে না থেকে কিছু একটা করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন।
সৈয়দপুর উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামের চেয়ারম্যান শিউলি বেগম বলেন, যদি পিছিয়ে পড়া নারীদের উদ্যোক্তায় পরিণত এবং তাদের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি করা যায়, তাহলে দেশ আর্থিকভাবে আরও সমৃদ্ধ হবে।
জেলা বিসিকের উপব্যবস্থাপক হুসনে আরা খাতুন বলেন, রাজিয়া সুলতানা দেশের গর্ব। তিনি নীরবে কাজ করে দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে নিয়ে আসছেন।
রাজিয়া সুলতানার তৈরি পাটজাত পণ্য অস্ট্রেলিয়া, জাপান, কানাডা, কাতার, সৌদি আরব ও ফ্রান্সে সরাসরি বা বায়ারের মাধ্যমে রফতানি হচ্ছে।
]]>