উন্নতজাতের টমেটো চাষেও দিশেহারা কৃষক!
<![CDATA[
রাজবাড়ীতে লাভের আশায় উন্নত জাতের বিপুল প্লাস ও বিউটিফুল জাতের টমেটো চাষ করেও হতাশ কৃষক। ফলন কম হওয়ায় ও জমিতেই টমেটো পচন দেখা দেয়াতে দিশেহারা কৃষক। বাজারে টমেটোর ভালো দাম থাকলেও সাইজে ছোট হওয়ায় বিক্রি হচ্ছে খুবই কম। ফলে সঠিক মূল্য পাচ্ছেন না কৃষক। অভিযোগ রয়েছে কৃষি কর্মকর্তাদের মাঠে না যাওয়ার। এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, টমেটো চাষে কৃষকদের দেয়া হচ্ছে নানান পরামর্শ।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা এলাকার কৃষক হাবিবর রহমান, এ বছর ২ বিঘা জমিতে টমেটোর চাষ করেছেন এতে তার খরচ হয়েছে ৯০ হাজার টাকা। অতিবৃষ্টিতে গাছ মরে যাওয়া, কুয়াশায় ফলন কম হওয়ায় ও গাছে পচন ধরায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘ভালো লাভের আশায় এ টমেটো চাষ করে এখন লোকসান গুনতে হচ্ছে। অসময়ে বৃষ্টি হয়ে অনেক গাছ মারা গেছে। তারপরেও ভেবেছি কোনো মতে কাটিয়ে উঠতে পারব। কিন্তু এখন গাছে টমেটো পচন ধরেছে। এ বছর আসল টাকা উঠবে কি না, সে নিয়ে চিন্তায় আছি।’
আরও পড়ুন: লোকসানের আশঙ্কায় দিশেহারা টমেটো চাষিরা
শুধু হাবিবর রহমান নয় নয়নসুখ, কাঁচরন্দপুর, রাধাকান্তপুর, গোপালবাড়ী, বরাটসহ রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন এলাকার শত শত কৃষকের একই অবস্থা।
কৃষকদের মধ্যে হাবিবর রহমান, ইসলাম শেখ, গোলাপ প্রামাণিক ও কাশেম শেখ জানান, এ বছর উন্নত জাতের টমেটো বিপুল প্লাস ও বিউটি ফুল জাতের টমেটো চাষ করেছেন। ফলন ভালো না হওয়ায় তারা আসল নিয়ে চিন্তায় আছেন লাভ তো দূরের বিষয়। বাজারে টমেটোর চাহিদা থাকলেও আকারে ছোট ও পচন রোগ থাকায় বিপাকে পড়েছেন তারা।
কৃষকদের অভিযোগ, এ পর্যন্ত কৃষি অফিস থেকে কেউ আসেননি বা কোনো পরামর্শ দেননি।
আরও পড়ুন: এক ডালেই হাজার টমেটো ফলিয়ে তাক লাগালেন স্মিথ
তবে, রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জনি খান বলেন, আমরা নিয়মিত কৃষকদের টমেটোর বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই, উন্নতজাত সম্পর্কে ধারণা দেয়া, সুষম মাত্রায় সার ও কীটনাশক ব্যবহারে পরামর্শ প্রদান করছি।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, জেলার পাঁচটি উপজেলায় এ বছর ৮৩৫ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে রাজবাড়ী সদর উপজেলাতেই আবাদ হয়েছে ৩১৫ হেক্টর জমিতে।
]]>