উপকূলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, নদীতে ৩ ফুট পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা
<![CDATA[
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি ও বাতাসের গতি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
রোববার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে জেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি দেখা যায়।
নিম্নচাপের প্রভাবে সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি; সারা দিন হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। ২৪ ও ২৫ অক্টোবর সকাল থেকে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। নিম্নচাপের ফলে নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান মোংলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক শিহাব কবির।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও সামান্য উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়েছে। এটি এখন গভীর নিম্নচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে। নিম্নচাপটি মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে রয়েছে; যার ফলে মোংলা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তবে মোংলা বন্দরের পণ্য খালাস ও বোঝাই স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: তিন বিভাগে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পূর্বাভাস
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সকাল থেকে মোংলা, শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, কচুয়া, রামপালসহ সব উপজেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও কোথাও ভারি বৃষ্টির খবরও পাওয়া গেছে। মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা ফেরি ও খেয়াঘাট পারাপারে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ বলেন, বন্দরের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের সিগনাল বৃদ্ধি ও পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত বন্দরে ১৪টি বাণিজ্যিক জাহাজ ছিল। সব কটির কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
]]>