উল্লুকের তিন মাসের বাচ্চা ডান হাত নাড়তে পারছে না
<![CDATA[
আহত তিন মাস বয়সী উল্লুকের বাচ্চাটি এখন মৌলভীবাজার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের রেসকিউ সেন্টারে চিকিৎসাধীন। তার ডান হাত একদম নাড়াতে পারছে না। তবে বাঁহাত দিয়ে নিয়মিত খাবার খাচ্ছে প্রাণীটি।
লোকজন দেখলে খাঁচার ভেতর থেকে অসহায়ের মতো ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে দেখছে। মা-বাপ ছেড়ে অচেনা জায়গায় ঠাঁই হওয়ায় অসুস্থ বাচ্চাটি নিষ্চুপ বসে ও ঘুমিয়ে সময় কাটাচ্ছে।
তবে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সুস্থ হলে এ বাচ্চাকে অবমুক্ত করে দেয়া হবে।
লাউয়াছড়া ওয়াইল্ড লাইফ রেঞ্জার মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জানান, তিন মাস বয়সী উল্লুকের বাচ্চাটিকে কতিপয় পাচারকারী কুমিল্লার একটি সামাজিক বনায়ন থেকে কৌশলে ধরে নেয়। পরে পাচার করতে গেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। এ সময় বাচ্চাটির ডান হাতে প্রচণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত হয়। সে সময় থেকেই তার ডান হাত নাড়াতে পারছিল না। পরবর্তী সময়ে তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার লাউয়াছড়া রেসকিউ সেন্টারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: রিসোর্ট থেকে ১৪টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার
তিনি আরও জানান, বর্তমানে বাচ্চাটিকে রেসকিউ সেন্টারে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে এখানে চিকিৎসক সংকট থাকায় তার চিকিৎসা নিয়েও সংশয় রয়েছে।
জানা গেছে, প্রাথমিক চিকিৎসা উপস্থিত রেসকিউ সেন্টারের প্রহরীরা দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তাকে দেখেননি।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, বাচ্চাটি বাঁহাত দিয়ে খাবার খেতে পারছে। ডান হাত কোনোভাবেই নাড়াতে পারছে না। তবে সুস্থ হলে বাচ্চাটিকে অবমুক্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: জিম্মি দশা থেকে ১৩টি বন্যপ্রাণী সুন্দরবনে অবমুক্ত
উল্লেখ্য, উল্লুক সাধারণ মানুষের মতো দলবদ্ধভাবে বসবাস করে। ওরা গাছের উঁচু স্থানে দল নিয়ে চলাফেরা করে। তারা গাছের কচি পাতা ও ফলমূল খেয়ে জীবন ধারণ করে। এরা মাটিতে অর্থাৎ গাছের নিচে খুব একটা নামে না। দেশের গাছগাছালি উজাড় হয়ে যাওয়ায় এ প্রাণীর বসবাস এক রকম সংকটাপন্ন।
]]>