এইডসের রেডজোন সিরাজগঞ্জ, বেড়েই চলছে শনাক্ত
<![CDATA[
যমুনা পাড়ের জেলা সিরাজগঞ্জে হঠাৎ করেই বাড়ছে এইচআইভি পজিটিভ রোগীর সংখ্যা। উদ্বেগজনকহারে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় শঙ্কায় জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ।
গত ৬ মাসে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে এইচআইভি পরীক্ষায় ৫৬ জন পজিটিভ রোগী পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইনজেকটিভ ড্রাগ ব্যবহারকারীরাই বেশি পজিটিভ হচ্ছেন। ভারত থেকে অবৈধভাবে আসা নিষিদ্ধ নেশা জাতীয় ইনজেকশনের মাধ্যমে এ রোগ বেশি ছাড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অবৈধ ইনজেকশন বিক্রি বন্ধ করতে পারলেই এইচআইভি অনেকটায় নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: বিনামূল্যে এইডস রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের এইচটিসি/এআরটি সেন্টারের তথ্য মতে, জেলায় এইচআইভি পরীক্ষায় শতকরা ৫০ ভাগ মানুষ পজিটিভ হচ্ছেন। আর পজিটিভ রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগই ইনজেকটিভ ড্রাগ ব্যবহারকারী। নেশা জাতীয় এসব ইনজেকশন গ্রহণের সুই বা সিরিঞ্জ একে অপরের সঙ্গে শেয়ার করছে। শনাক্তকারীদের মধ্যে শতকরা ৯৮ ভাগ এসব মাদক গ্রহণকারী।
আরও পড়ুন: জেনে নিন এইডস রোগের লক্ষণ
সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের এইচআইভি কাউন্সিলর কাম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মাসুদ রানা জানান, এখনই যদি এইচআইভি প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি না করা যায় তাহলে সিরাজগঞ্জ হবে এইডস এর রেডজোন। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের ১০ তারিখ পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ৬৬ জন বলে জানান তিনি।
এদিকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের এইচআইভি সেন্টারের মেডিকেল অফিসার কাম সেন্টার ম্যানেজার ডা. তমা কুণ্ডু বলেন, যেহেতু ইনজেকটিভ ড্রাগের মাধ্যমে এই রোগ বেশি ছড়াচ্ছে, তাই এর ব্যবহার কমাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
আরও পড়ুন এইডস নিয়ে ১১ ভুল ধারণা
আর জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ জানান, ভাতর থেকে আসা অবৈধ নেশা জাতীয় ভুপেন অরফ্যান ইনজেকশন বিপনের সঙ্গে জড়িতদের আটকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার করা হচ্ছে।
২০২০ সাল থেকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে এইচআইভির পরীক্ষা শুরু হয়। ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৭৮ জন এইচআইভি পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে, আর মৃত্যুবরণ করেছেন ৪ জন রোগী।
]]>




