বিনোদন

এই ক্যাপ পরলে ঘুম আসবে না গাড়ি চালকের!

<![CDATA[

চোখের পলক পড়লেই মাথায় পরা ক্যাপের ওপর বেজে উঠবে অ্যালার্ম। এ শব্দে চোখ থেকে পালাবে ঘুম। দেখতে অদ্ভুত ওই টুপির সঙ্গে সংযুক্ত আছে চশমা। খুবই সাদাসিধে প্রযুক্তি। তবে চিন্তাটি প্রশংসার দাবিদার। কেননা দেশের সবচেয়ে বড় মরণফাঁদ মহাসড়কে প্রাণহানি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য নিয়ে বগুড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মাহি ওয়াসিফের এই উদ্ভাবন।

গবেষণা বলছে, দুর্ঘটনার বড় একটি কারণ ঘুমঘুম চোখে গাড়ি চালানো। আর মাহির এই চশমাযুক্ত ক্যাপ পরলে চালক বা পাশে থাকা যে কেউ অ্যালার্ম শুনে বুঝতে পারবে ঘুমের বিষয়টি।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী চলা ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় মাহির মতো আরও অনেকেই প্রজেক্ট নিয়ে নিজ নিজ বিদ্যালয়ের ব্যানারে এসেছেন। মেলায় ৩টি প্যাভিলিয়নে মোট ১৭টি স্টলে জেলার স্বনামধন্য স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন বিজ্ঞান ক্লাব ও সরকারের বিভিন্ন দফতর অংশ নেয়।

আরও পড়ুন: দুবাইয়ের আকাশে উড়ন্ত গাড়ি

কথায় আছে প্রয়োজন উদ্ভাবনের জননী। এই ক্ষুদে উদ্ভাবকদের বেলাতেও তা অভিন্ন। দেশে চলমান বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে রাষ্ট্রের বড় বড় চিন্তাবিদদের মতো চিন্তিত তারাও। তাইতো বঙ্গবন্ধু স্মার্ট সিটি কিংবা সোলার ডিটেক্টরের মতো প্রজেক্ট বানিয়েছে স্কুল পড়ুয়া শিশুরা। কেউবা অ্যাপের মাধ্যমে যে কোনো স্থান থেকে ঘরের বৈদ্যুতিক যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করে বিদ্যুতের অপচয় রোধে সচেষ্ট। এ ছাড়াও কৃষকের জন্য বানিয়েছে গাছের পাতা দেখে রোগ সনাক্তকারী যন্ত্র।

জিপিএ ফাইভের এই দৌড়ে অনেক বাবা-মা এখনও বাধ সাধেন এমন সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে। তবে অনেকেই বোঝেন এটি তার সন্তানকে ভবিষ্যতে বাকিদের চেয়ে এগিয়ে নেবে।

আরও পড়ুন: মায়ের বুকের দুধে মাইক্রো প্লাস্টিক পেলেন বিজ্ঞানীরা

বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম গড়ে তুলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এমন আয়োজনকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক।

নিজেদের চিন্তাকে বাস্তবে রূপ দিতে অদম্য স্পৃহার পাশাপাশি দরকার হয় অর্থের। আপাত দৃষ্টিতে টাকার অঙ্ক বেশি মনে না হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য তার যোগান দেয়া সম্ভব নয়। প্রতিষ্ঠান থেকে সাহায্য পাওয়া গেলেও সরকারি কোনো বরাদ্দের সুযোগ নেই। বহির্বিশ্বের মতো শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান জিয়াউল হক।

উপজেলা পর্যায়ে সেরা উদ্ভাবকদের নিয়ে আগামী ১৬ ও ১৭ নভেম্বর বগুড়া জিলা স্কুলে অনুষ্ঠিত হবে জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!