‘একতারা’ প্রতীকে লড়বেন হিরো আলম
<![CDATA[
বগুড়া ৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনে ‘একতারা’ প্রতীক নিয়ে লড়বেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম দুটি আসনেই হিরো আমলের হাতে একতারা প্রতীক তুলে দিয়েছেন। যদিও সিংহ প্রতীক নিয়ে ভোট যুদ্ধে নামতে চেয়েছিলেন তিনি।
প্রতীক বরাদ্দের পরই জমে উঠেছে বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনের প্রচারণা। ভোটারদের কাছে বার্তা পৌঁছানোর জন্য পোস্টার-ব্যানার ছাপানো হয়েছে।
এর আগে, বগুড়া-৪ (সদর) ও বগুড়া-৬ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন হিরো আলম। কিন্তু ভোটার তালিকায় গরমিল থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেও লাভ হয়নি। এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেন আশরাফুল হোসেন আলম। উচ্চ আদালতের আদেশে প্রার্থিতা ফেরত পাওয়ার পর গণমাধ্যমে সিংহ প্রতীকে ভোট করার ইচ্ছার কথা জানান তিনি। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা তাকে একতারা প্রতীক বরাদ্দ দেন। অবশ্য এ নিয়ে খুব বেশি আপত্তি করেননি তিনি।
আরও পড়ুন: বগুড়ার উপনির্বাচনে অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: ইসি রাশেদা
হিরো আলম বলেন, ‘আমি সিংহ প্রতীক না পেলেও খুশি। অভিনয়ের পাশাপাশি আমি গান করি। হয়তোবা এ কারণেই আমাকে একতারা প্রতীক দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন হিরো আলম। সেবার প্রচার-প্রচারণা চালাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন আলম। তবে এবার কোনো আঘাত এলে পাল্টা জবাব দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হিরো আলম।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বগুড়ার দুটি আসনে ২৫৫টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে। তবে কেন্দ্রে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা থাকছে না।
]]>