একাত্তরের নৃশংসতাকে গণহত্যার স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান
<![CDATA[
শহিদ বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ বাংলাদেশে ‘৭১ সালের নৃশংসতাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনে বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
হাইকমিশনার বলেন, ‘১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা বাংলাদেশে শত শত বুদ্ধিজীবীকে নির্মমভাবে হত্যা করে বাঙালিকে নেতৃত্বহীন এবং বুদ্ধিবৃত্তিক দেউলিয়া জাতিতে পরিণত করতে চেয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন।’
হাইকমিশনার ব্রিটিশ ও ব্রিটিশ-বাংলাদেশি লেখক ও গবেষকদের গণহত্যা বিষয়ক আন্তর্জাতিক জার্নালে বাঙালি গণহত্যার ওপর লেখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এক্ষেত্রে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন সম্ভাব্য সব সহযোগিতা করবে।’
আরও পড়ুন: বিদেশে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা, টবি ক্যাডম্যানের ঠিকাদারি
অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন শহিদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক ড. জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতার মেয়ে ড. মেঘনা গুহ ঠাকুরতা, শহিদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর ছেলে আসিফ মুনীর ও শহিদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে শমি কায়সার। তারা তাদের পিতার স্মৃতিচারণ করে শহিদ বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ ‘৭১ সালের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব ইন্ডিয়ার প্যাট্রন লর্ড রামি রেঞ্জার, লন্ডন ইউনিভার্সিটি রসোয়াসের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. সংযুক্তা ঘোষ, বাংলাদেশের ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার’ জুলিয়ান ফ্রান্সিস, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ শরীফ, ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট সদস্য সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, যুক্তরাজ্যে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাবেক সভাপতি সৈয়দ এনাম ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার কনস্যুলার মো. মঈন খান।
অনুষ্ঠানে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের উৎসর্গ করে একটি কবিতা আবৃত্তি করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট অভিনেত্রী শম্পা রেজা।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার, শহিদ বুদ্ধিজীবী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহিদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি ও অব্যাহত অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
]]>