এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে
<![CDATA[
সারা দেশের সব অনাবাদি পতিত জমিতে চাষাবাদ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কোথাও এক ইঞ্চি জমিও যেন খালি না থাকে। সব জায়গা চাষ উপযোগী করে তুলতে হবে।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী ইউনিয়নের পুবের বিলে নিজেদের পৈত্রিক জমি পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
জলাভূমির অন্তর্গত এ অঞ্চলের জমিগুলো বছরের ৮ থেকে ৯ মাসই পানির নিচে থাকে। ভাসমান বেডে সবজি ও অন্যান্য ফসল চাষ করে এ জমিগুলো চাষ উপযোগী করে তোলার ব্যাপারে নির্দেশনা দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
এরপর বিকেলে ঢাকায় ফেরার আগে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম যৌথসভায় কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি।
শেখ হাসিনা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, তার দল ও সরকার সর্বদা জনগণের দুঃখ-কষ্টে পাশে থাকবে। জনগণের সেবাই আওয়ামী লীগের একমাত্র মূলমন্ত্র।
তিনি বলেন, ‘আমরা সর্বদা জনগণের পাশে আছি এবং জনগণের সেবা করাই আমাদের মূলমন্ত্র। দেশবাসীকে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে যা যা প্রয়োজন আওয়ামী লীগ সরকার সবই করে যাচ্ছে। শুধু আওয়ামী লীগ সরকারই নয়, এর নেতাকর্মীরাও জনগণের প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীও হবে স্মার্ট: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা আরও বলেন, করোনা ও যেকোনো দুর্যোগে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের জনগণের পাশে দাঁড়ানো থেকে প্রমাণিত হয় যে, দল সর্বদা জনগণের প্রতিটি দুঃখ-কষ্টে পাশে থাকে।
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার সমাধিতে দুদফা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। দশমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় তিনি দলের পক্ষ থেকে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর তিনি টুঙ্গিপাড়ায় উপস্থিত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে গোপালগঞ্জের ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং একটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটি নিয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে মতবিনিময় ও সবশেষে ২২তম জাতীয় সম্মেলনে গঠিত উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে বৈঠক করেন।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকালে সড়কপথে তিনি ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ায় যান। এরপর বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানানো শেষে বিকেলে খুলনার রূপসা সেতু পার হয়ে আড়ংঘাটা বাইপাস ধরে দিঘলিয়া ঘাটে পৌঁছান। ঘাট পার হয়ে দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নামে কেনা পাটের গোডাউন পরিদর্শন করেন।
২২তম সম্মেলনে দশমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম তিনি তার নিজ গ্রাম গোপালগঞ্জে যান।
]]>