এক বছরেরও কম সময়ে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি খুইয়েছেন ইলন মাস্ক
<![CDATA[
কমছে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের সম্পদ। বছর ব্যবধানে তিনি ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সম্পদ খুইয়েছেন, যা তার মোট সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ।
সম্প্রতি ফোর্বসের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এক বছরেরও কম সময়ে বিশ্বের এই শীর্ষ ধনী ব্যক্তি ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ হারিয়েছেন।
গত বছরের নভেম্বরে টেসলার প্রধান নির্বাহীর সম্পদ ৩০০ বিলিয়ন ডলারের মাইকফলক অতিক্রম করে। তিনিই ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি, যিনি এ মাইলফলক অর্জন করেন। কিন্তু এর পর অনেক কিছুই ঘটে গেছে। যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা টুইটার চুক্তি।
২০২১ সালের ৪ নভেম্বর ইলন মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩২০ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। প্রায় এক বছর ব্যবধানে তার সম্পদ প্রায় ৩৫ শতাংশ কমেছে। বৃহস্পতিবারের (২০ অক্টোবর) লেনদেন শেষে তার সম্পদ ছিল ২০৯ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। কারণ, সেদিন টেসলার স্টকের দাম ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়।
আরও পড়ুন: টুইটারের ৭৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা ইলন মাস্কের
এমনকি শুধু এ মাসেই তার সম্পদ কমেছে ২৮ বিলিয়ন ডলার।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) প্রকাশিত টেসলার ত্রৈমাসিক আয় প্রতিবেদন অনুসারে, বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির আয় বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার তুলনায় কম হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত করেছে।
এ বিষয়ে মিলার তাবাক প্লাস কোম্পানির প্রধান মার্কেট স্ট্র্যাটেজিস্ট ম্যাট ম্যালি একটি ই-মেইলে ফোর্বসকে জানিয়েছেন, ‘ইলন মাস্ক উচ্চমূল্যে গাড়ি বিক্রি করেন। তাই চলমান অর্থনৈতিক মন্দা তার ব্যবসার জন্য ভালো হবে না।’
তবে চিন্তার কিছু নেই, তিনি এখনও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। রোববার (২৩ অক্টোবর) এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার ইন্ডেক্স অনুসারে, বিশ্বের এই শীর্ষ ধনী ব্যক্তির সম্পদ ২০৪ বিলিয়ন ডলার। এবং তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজসের সঙ্গে তার সম্পদের পার্থক্য ৬২ বিলিয়ন ডলার এবং তৃতীয় স্থানে থাকা এলভিএমএইচের প্রধান বার্নার্ড আর্নল্টের সঙ্গে পার্থক্য ৬৮ বিলিয়ন ডলার। জেফ বেজসের সম্পদ হচ্ছে ১৪২ বিলিয়ন ডলার এবং বার্নার্ড আর্নল্টের সম্পদ ১৩৬ বিলিয়ন ডলার।
]]>