এবার সরকারবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্র হবে রাজধানী: বিএনপি
<![CDATA[
বিগত বছরগুলোতে ঢাকায় নিষ্ক্রিয় থাকলেও এবার সরকারবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্র হবে রাজধানী। এমন দাবি করে বিএনপি নেতারা বলছেন, গ্রেফতার কিংবা নির্যাতন কোনো কৌশলেই পিছপা হবে না দল। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ে এবার অনড় তারা।
মিছিল, সভা, মানববন্ধন কিংবা গণসমাবেশ- কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে বিএনপি। গত বছরের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত সরকারবিরোধী আন্দোলনে নিজেদের সক্রিয় রেখেছে দলটি।
তবে নির্বাচনকেন্দ্রিক এই আন্দোলনে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে সাধারণ মানুষের মাঝে কতটা সাড়া জাগাতে পেরেছে দলটি? নেতারা স্বীকার করছেন, আগের আন্দোলনগুলোতে তেমন জাগেনি। কর্মী-সমর্থকের বাইরে সাধারণ মানুষ সম্পৃক্ত হয়নি তাদের আন্দোলনে। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু হবে ঢাকা।
বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, এবার আর কোনো ভুল করতে চান না তারা। সে জন্য রাজধানী থেকে আন্দোলন শুরু করতে প্রস্তুত তারা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ঢাকা শহরে অত্যাচার-নিপীড়নটা একটু বেশি। কিন্তু এগুলোকে এড়িয়ে যাওয়া এত সহজ না। সব জায়গায় আন্দোলন হয়েছে কিন্তু ঢাকা শহরে আন্দোলন হয়নি- এমন সুযোগ এবার নেই। এবার বরং আন্দোলনের কেন্দুবিন্দু এবং সূতিকাগার হবে ঢাকা।
আরও পড়ুন: বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বিরোধী দলকে দমন করার জন্য সরকার কতটা নৃশংস পন্থা অবলম্বন করছে, সেই বিষয়ে নজর রাখতে হবে। ঢাকাকে কেন্দ্র করেই সব সময় চূড়ান্ত আন্দোলন গড়ে উঠেছে, ভবিষ্যতেও তাই হবে।
তারা বলছেন, গ্রেফতার-নির্যাতনে পরোয়া করে না নেতাকর্মীরা। লক্ষ্য পূরণে আন্দোলনই একমাত্র পথ।
ড. আবদুল মঈন খান বলেন, এই যে আমরা ১০টি গণসমাবেশ করেছি, সেখানে লাখ লাখ মানুষের সমাগম হয়েছে। এটা কি সরকার বন্ধ করতে পেরেছে? ভয় দেখিয়ে চিরদিন মানুষকে আটকে রাখা যাবে না!
আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ধরেই নিয়েছি যে আমরা আন্দোলন করলেও তারা মিথ্যা মামলা দেবে, না করলেও দেবে। আন্দোলন করলেও গ্রেফতার করবে, না করলেও গ্রেফতার করবে। এসবের জন্য বিএনপি এখন চিন্তা করে না। এটাকে সামনে রেখেই এখন ভবিষ্যতের আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়েছি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য প্রয়োজন: রুমিন ফারহানা
সরকার পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারে ২৭ দফা বাস্তবায়নে সব দলকে এক হওয়ার আহ্বান জানান দলটির নেতারা।
]]>




