এলসি সংকটে স্থবিরের পথে যশোরের গাড়ি যন্ত্রাংশের ব্যবসা
<![CDATA[
যশোরে গড়ে উঠেছে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ির যন্ত্রাংশের হাজার কোটি টাকার ব্যবসা। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে এলসি বা ঋণপত্র না খুলতে পারায় দেশের অন্যতম বড় এ মোকামে যন্ত্রাংশের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে স্থবির হতে বসেছে এ খাতের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড।
সত্তরের দশকে যশোর শহরের আরএন রোডে শুরু হয় গাড়ির যন্ত্রাংশের ব্যবসা। নব্বইয়ের দশক থেকে এ খাতের দ্রুত প্রসার ঘটতে থাকে। ধীরে ধীরে মোটরসাইকেল, মোটরগাড়ির ও কৃষি যন্ত্রাংশের অন্যতম বড় মোকামে পরিণত হয় এলাকাটি। ভারত, চীন, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা নানা ব্র্যান্ডের যন্ত্রাংশের প্রায় শতভাগই সরবরাহ করেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। এতে এলাকাটিতে হাজার কোটি টাকার ব্যবসা গড়ে ওঠে।
কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে এলসি না খুলতে পারায় পণ্য আমদানি করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। এতে বাজারে সব ধরনের যন্ত্রাংশেই সংকট দেখা দিয়েছে। গোডাউনে থাকা পুরনো মালামাল দিয়ে কোনোমতে ব্যবসা টিকিয়ে রাখছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
এক ব্যবসায়ী বলেন, বর্তমানে আমরা পুরনো পণ্য দিয়েই ব্যবসা করছি। এতে ক্রেতা সন্তুষ্টি মিলছে না। আরেক ব্যবসায়ী বলেন, পণ্য নেই। ব্যবসা নেই। কোনো বেচাকেনা নেই। সারা দিন বসে থাকতে হচ্ছে।
এদিকে এক ক্রেতা বলেন, আগে আমরা চাহিদামাফিক পণ্য পেতাম। কিন্তু এখন সশরীরে এসেও আমরা পণ্য পাচ্ছি না।
আরও পড়ুন: বড়রা টাকা মেরে খায়, ছোটরা ব্যাংকঋণ পায় না: এফবিসিসিআই সভাপতি
অপরদিকে ব্যাংকঋণসহ বিভিন্ন দেনায় পড়ে কর্মী ছাঁটাইয়ে বাধ্য হচ্ছেন পাইকাররা। তারা বলেন, বেশিরভাগ দোকান থেকে অর্ধেকের বেশি কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। তাদের পরিবার কোথায় যাবে।
এ অবস্থায় স্বল্প পরিসরে হলেও এলসি চালুর দাবি তাদের। যশোরের বাংলাদেশ মোটর পার্টস ও টায়ার টিউব ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সবুজ বলেন, আমরা কিন্তু এক সময় দেউলিয়া হয়ে পড়ব। আমাদের ন্যূনতম সময়ের মধ্যে এলসি খোলার সুযোগ দিতে হবে।
যশোরের চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান বলেন, আমদানিনির্ভর যে ব্যবসাগুলো রয়েছে, এগুলোর কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার জন্য ডলারের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকছে।
উল্লেখ্য, যশোরের আরএন রোড, মণিহার বাসস্ট্যান্ড, বকচর ও চাঁচড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় দুই হাজার পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার মধ্যে সাড়ে তিন শতাধিক ব্যবসায়ী সরাসরি আমদানির সঙ্গে জড়িত।
]]>




