কবিরহাটে বিয়ে বাড়িতে কিশোরীকে ধর্ষণ
নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর কবিরহাট পৌরসভার ফতেপুর এলাকায় বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে এক কিশোরী (১৫) ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার বিচার চাইতে গিয়ে অভিযুক্তের পরিবারের হাতে মারধরের শিকার হয়েছে কিশোরীর পরিবার।
গতকাল বুধবার বিকালে নির্যাতিতা কিশোরীকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরআগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কবিরহাট পৌরসভার ইন্দ্রপুর এলাকার একটি বসত ঘরের ছাদে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত টিপু কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামের রফিক উল্ল্যার ছেলে। অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগী কিশোরী সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই-বোন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার এক আত্মীয়ের বিয়েতে ইন্দ্রপুরে আসে টিপু। একই বাড়িতে পরিবারের লোকজনের সাথে আসে ভুক্তভোগি কিশোরী। রাত সাড়ে ১০টার দিকে খাওয়া শেষে তাকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকে। রাত ১১টার দিকে টিপুর মামী কমলা বেগমকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান ওই কিশোরী তাদের ছাদের ওপর রয়েছে। কমলার কাছ থেকে এমন তথ্য পেয়ে দ্রæত ছাদে গিয়ে গায়ের ওড়না দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় কিশোরীকে দেখতে পান তিনি। এসময় দ্রæত এক ছাদ থেকে অন্য ছাদে লাফিয়ে পালিয়ে যায় টিপু। পরে লোকজনের সহযোগিতায় নির্যাতিতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কবিরহাট ও পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নির্যাতিতার বরাত দিয়ে তার মা অভিযোগ করে বলেন, আগামি বৃহস্পতিবার টিপুর বিয়ে ছিলো। বিয়ে বাড়িতে আসার পর রান্নার জন্য লাড়কি লাগবে বলে তার মামাদের ছাদে মেয়েকে ডেকে নিয়ে যায় টিপু। ছাদে নিয়ে ওড়না দিয়ে তার মুখ বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে টিপু। এসময় রক্তক্ষরণে অচেতন হয়ে যায় তার মেয়ে। এ ঘটনাটি টিপুর মামা বাবাকে জানাতে গেলে তিনি এবং তার স্বামীকে মারধর করে জখম করে টিপুর পরিবারের লোকজন। অভিযুক্ত টিপুকে দ্রæত গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।
কবিরহাট থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অসুস্থ্য অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করতে বেশ কয়েক বার তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। তবে সে স্বপরিবারে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।