কমেছে চালের দাম, ঊর্ধ্বমুখী ডিম-সবজির বাজার
<![CDATA[
রাজধানীতে কমতে শুরু করেছে মোটা চালের দাম। স্থিতিশীল রয়েছে মুদিপণ্যের বাজার। তবে আবারও বাড়ছে ডিম-সবজির বাজার দর।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সরেজমিনে কারওয়ানবাজার ঘুরে দেখা যায় এ চিত্র।
আমন মৌসুমের শুরুতেও চালের দাম বাড়তে থাকায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল ব্যবসায়ীদের কপালে। অবশেষে রাজধানীতে কমতে শুরু করেছে মোটা চালের দাম। দুই সপ্তাহে কেজিতে কমেছে ৬ টাকা।
আরও পড়ুন: মাওয়ায় বেড়েছে ইলিশের সরবরাহ, উপচে পড়া ভিড়
বিক্রেতারা বলছেন, মোটা চালের দাম মানভেদে কেজিতে কমেছে ৪ থেকে ৬ টাকা। আটাশ চালের দাম কমে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৫৩ টাকা। আড়তে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল থাকলেও ক্রেতা নেই বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
ক্রেতারা বলছেন, তাদের আয়ের তুলনায় চালের দাম অনেক বেশি।
তবে দাম বৃদ্ধির চাপ নেই মুদিখানায়। বরং কেজিতে ১০ টাকা দাম কমেছে আটা-ময়দার। চিনির সংকট না কাটলেও চাহিদা মতো সরবরাহ রয়েছে ডাল-তেলসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের।
বিক্রেতারা বলছেন, খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। পাম তেল বিক্রি করছেন লিটার প্রতি ১২০ টাকা। ২ কেজির আটার প্যাকেট এক সপ্তাহ আগে ১৪৫ বিক্রি করলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়।
তবে ক্রেতারা জানান ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, প্রত্যেকটা জিনিসের দাম ক্রয়ের নাগালের বাইরে। প্রতি সপ্তাহে পণ্যের দাম অতিরিক্তভাবে বাড়ছে। আগে ৫০০ টাকায় বাজার করতে পারলেও এখন বাজার করতে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে তাদের। প্রায় ৯ শতাংশের কাছাকাছি মূল্যস্ফীতির ঘানি কাঁধে নিয়ে মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য চলা কষ্টকর বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
আরও পড়ুন: দেশে প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপির চাষ
এদিকে মাস দেড়েক কমতির দিকে থাকার পর আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠছে সবজির বাজার। ক্রেতারা বলছেন গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে।
সবজির দাম কিছুটা বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারাও। সিম কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। আর বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
সরবরাহ ঠিক থাকার পরও চাহিদা বাড়ায় ডজনে ১০ টাকা বেড়েছে ডিমের দাম। গত সপ্তাহে লাল ডিম বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকা ডজন। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। বেড়েছে সাদা ডিমের দামও। গত সপ্তাহে ১০৫ টাকা ডজন বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়।
এছাড়া স্বাভাবিক রয়েছে মুরগির দোকানে চাহিদা-যোগান ও দাম।
]]>




