বিনোদন

কম্বোডিয়া ও নেপালের বিপক্ষে ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা

<![CDATA[

কম্বোডিয়া ও নেপালের বিপক্ষে ফিফা প্রীতি ম্যাচের জন্য ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। দেশের মাটিতে লম্বা প্রস্তুতিতে দুই ম্যাচেই জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ফুটবলাররা। প্রতিপক্ষের অবস্থান বিশ্লেষণে ১৯ সেপ্টেম্বর কম্বোডিয়ার বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে জামালরা। এদিকে চুক্তি শেষের আগে এবারের ম্যাচ দুটিতে জয়ের ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা।

১৬ দিনের হার্ড অ্যান্ড টাফ প্র্যাকটিস সেশন। দেশের মাটিতে  দিন ধরে চলমান জাতীয় দলের এই অনুশীলনকে গত চার-পাঁচ বছরের সবচেয়ে কঠিন সেশন বলেই মনে করছেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। নিজেদের আত্মবিশ্বাসটাও তাই এবার অন্য যে কোনো বারের তুলনায় অনেক বেশি।

২৭ জনের দল নিয়ে অনুশীলন শুরু করলেও ইনজুরির জন্য ক্যাম্প থেকে ছিটকে গেছেন সোহেল রানা ও রায়হান। ২৩ জনের চূড়ান্ত স্কোয়াড নিয়ে কলম্বিয়ার উদ্দেশে পাড়ি জমাবেন জামাল ভূঁইয়ারা। ফিফা প্রীতি ম্যাচের আগে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর কম্বোডিয়ার সঙ্গে একটি ক্লোজ ডোর প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা রয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। যে ম্যাচটি ফিফা র‌্যাংকিংয়ে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

আরও পড়ুন: পেশাদার লিগ কমিটির দায়িত্ব নিলেন কাজী সালাউদ্দিন

ফিফা প্রীতি ম্যাচে কম্বোডিয়া ও নেপালের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমানোয় লক্ষ্যটা স্থির। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলকে এর আগে সরাসরি জয়ের ব্যাপারে খুব একটা আশাবাদ ব্যক্ত করতে দেখা যায়নি। তবে এবার শুধু অংশগ্রহণ নয়, বেশ কিছুদিনের কঠোর অনুশীলনে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যরা। নেপাল ও কম্বোডিয়ার বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচেই জয় তুলে নিতে মুখিয়ে অধিনায়ক জামাল।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দেশ ছাড়ার আগে গণমাধ্যমকে জামাল বলেন, ‘প্রত্যেকটা ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ, শুধু যে এ দুটি ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ এমন না। ২০ দিন আমরা কোচের সঙ্গে কাজ করেছি। আশা করি, ভালো একটা ফলাফল আসবে।  আমি এটা চিন্তা করছি না যে, এই দুই ম্যাচ হেরে আমরা র‌্যাংকিংয়ে নিচে নেমে যাব। আমার চিন্তা পজিটিভ। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দেব এবং ৬ পয়েন্ট নিয়ে আসব।’

এদিকে চুক্তি শেষ হওয়ার আগে এটিই শেষ অ্যাসাইনমেন্ট জাতীয় দলের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার। কোচের অধীনে এখনো কোনো ম্যাচ জিততে না পারলেও এবার জয়ের ব্যাপারে দৃঢ়প্রত্যয়ী এই স্প্যানিশ।

আরও পড়ুন: মেয়েরা পারলেও ছেলেরা কেন পারে না?

গণমাধ্যমকে ক্যাবরেরা বলেন, ‘আমরা কঠোর অনুশীলন করেছি। প্রস্তুতিও ভালো। সামনে কী হতে যাচ্ছে, তা এখনই ভাবছি না। তবে নেপাল ও কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দুটিতেই জয় পাওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ।’

আমরা কঠোর অনুশীলন করেছি। প্রস্তুতিও খুব ভালো। সামনে কি হতে যাচ্ছে তা এখনই ভাবছি না, তবে নেপাল ও কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দুটিতে জয় পাওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতিপক্ষের দক্ষতা নিয়ে খুব একটা বিশ্লেষণ করা না হলেও, ফিফা স্বীকৃত অফিসিয়াল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে তাদের নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা কোচ ও ফুটবলারদের।

একনজরে বাংলাদেশ দল:

গোলরক্ষক: আনিসুর রহমান জিকো, আশরাফুল ইসলাম রানা, মাহফুজ হাসান প্রীতম।

ডিফেন্ডার: কাজী তারিক রায়হান, বিশ্বনাথ ঘোষ, ইয়াসিন আরাফাত, টুটুল হোসেন বাদশা, রিয়াদুল রাফি, রহমত মিয়া, রিমন হোসেন, ইশা ফয়সাল।

মিডফিল্ডার: জামাল ভূঁইয়া, মাশুক মিয়া জনি, আতিকুর রহমান ফাহাদ, সোহেল রানা (জুনিয়র), হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস, বিপলু আহমেদ।

ফরোয়ার্ড: সুমন রেজা, মতিন মিয়া, সাজ্জাদ হোসেন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, রাকিব হোসেন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!