জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়েচে ভেলে এবং ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানায়, মহামারি করোনাকালে বৈঠকটি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এনডিটিভি জানায়, ওই বৈঠকে যোগ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন, ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিনসহ অন্য দেশের নেতারা।
বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে মোদি বলেন, আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক বাণিজ্যের পথে বাধাগুলো দূর করতে আমাদের সচেষ্ট হতে হবে। সমুদ্রপথে বাণিজ্যের সাফল্যের ওপরেই আগামী দিনে আন্তর্জাতিক সমৃদ্ধি নির্ভর করবে।
তিনি বলেন, সমুদ্র আমাদের সবার সম্পদ। সমুদ্র আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ‘লাইফলাইন’ হিসেবে কাজ করে। আবার এ সমুদ্র পথকে ব্যবহার করে জলদস্যুতা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডও পরিচালিত হচ্ছে।
মোদি উল্লেখ করেন, অনেক দেশের মধ্যে সমুদ্র নিয়ে বিরোধ রয়েছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনও সমুদ্রের সঙ্গে যুক্ত। এ সময় তিনি বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টানেন।
মোদি বলেন, আলোচনা করে, ঐক্যমতের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে জলসীমা সংক্রান্ত বিরোধ মিটিয়ে নিয়েছে ভারত। আলোচনার মাধ্যমেই আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথে বাণিজ্যের বাধা দূর করতে হবে। বিরোধ মেটাতে হবে। তাহলেই আন্তর্জাতিক সমৃদ্ধি আসবে।
এদিকে মোদির বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নিরাপত্তা পরিষদে মোদির এ বক্তব্যে চীনের নাম উল্লেখ না করলেও চীন ও দক্ষিণ চীন সাগরে জাপান, ভিয়েতনাম, তাইওয়ানসহ অনেক দেশের সঙ্গে চীনের যে বিরোধ রয়েছে তার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন নরেন্দ্র মোদি।