কাতার বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক রামোসের
<![CDATA[
কাতার বিশ্বকাপে প্রথম হ্যাটট্রিক করেছেন পর্তুগালের গনকালো রামোস। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পরিবর্তে একাদশে জায়গা পেয়েই বাজিমাত করেছেন এ তারকা। ১৭ মিনিটে প্রথম গোল করে ৬৭ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেছেন তিনি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৫-১ গোলে এগিয়ে রয়েছে ফার্নান্দো সান্তোসের শিষ্যরা।
লুসাইল স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে একাদশের বাইরে রেখে খেলতে নামে পর্তুগাল। সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ের জায়গায় নামেন গনকালো রামোস। তিনিই ১৭ মিনিটের মাথায় পর্তুগালকে লিড এনে দেন। থ্রো থেকে বল পেয়ে জোয়াও ফেলিক্স পাস দেন রামোসকে। রামোসের বুলেট গতির আড়াআড়ি শট সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সমেরের মাথায় উপর দিয়ে জালে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: স্পেনকে পেনাল্টি শুটআউটে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে মরক্কো
চার মিনিট পরও গোল পেতে পারতেন রামোস। সুইজারল্যান্ডের রক্ষণভাগে বল পেয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে শট নেন তিনি। কিন্তু তার দুর্বল শট সরাসরি চলে যায় সমেরের হাতে। পর মুহূর্তে কাউন্টার অ্যাটাকে বল নিয়ে পর্তুগালের ডি বক্সের কাছাকাছি গিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে সুইজারল্যান্ড। ফলে গোল পাওয়া হয়নি তাদের।
২৮ মিনিটে বক্সের কয়েক হাত দূরে, অনেকটা বিপদজনক জায়গায় ফ্রি-কিক পায় সুইজারল্যান্ড। জেরদান শাকিরির নেয়া শট একটুর জন্য জালের ভেতর দিয়ে ঢুকেনি। ৩১ মিনিটে আত্মঘাতী গোল পেতে পারত পর্তুগাল। কিন্তু কর্নারের বিনিময়ে সে যাত্রায় বেঁচে যায় সুইজারল্যান্ড। সেই কর্নার থেকেই গোল হজম করে তারা। ব্রুনো ফার্নান্দেজের কর্নার কিকে সুইজারল্যান্ডের দুই খেলোয়াড়ের মাঝখান থেকে লাফিয়ে উঠে হেড নেন পেপে। তার হেডে ২-০ গোলের লিড পায় পর্তুগিজরা।
৩৭ মিনিটে একটুর জন্য গোল পায়নি সুইসরা। ডান প্রান্ত থেকে ভেসে আসা বল কস্তা ফিরিয়ে দেন। ফিরতি বলে হেড দেন সুইজারল্যান্ডের ফ্রয়লার। সেই বল ক্লিয়ার করেন দিয়েগো দালত। ৪২ মিনিটে সহজ সুযোগ মিস করেন রামোস। ফাঁকা জায়গায় বল পেয়েও সমেরকে পরাস্ত করতে পারেননি তিনি। বিরতি থেকে ফেরার ১০ মিনিটের মধ্যে আরও দুবার উদযাপনের উপলক্ষ পায় পর্তুগাল। যার প্রথম গোলটি আসে রামোসের পা থেকে। অন্য গোলটি করেন রাফায়েল গুয়েরেরো।
আরও পড়ুন: স্পেনকে হারিয়ে সিজদায় লুটিয়ে পড়লেন মরক্কোর ফুটবলাররা
সুইজারল্যান্ড একটি গোল শোধ করে ম্যাচের ৫৭ মিনিটে। পর্তুগালের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের মাথার উপর দিয়ে ভেসে আসা বলে আলতো পা ছুয়ে জালের দেখা পান ম্যানুয়েল আকাঞ্জি। ৬৭ মিনিটে সুইজারল্যান্ডের ভুলে বল পেয়ে ফেলিক্স পাস দেন রামোসকে। রামোস সমেরকে ফাঁকি দিয়ে কাতার বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিকদাতার খাতায় নাম তুলতে কোনো ভুল করেননি।
]]>