বাংলাদেশ

কাতার বিশ্বকাপের ভূয়সী প্রশংসা ওজিলের কণ্ঠে

<![CDATA[

কাতার বিশ্বকাপের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জার্মান বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার মেসুত ওজিল। নিজের সামাজিক মাধ্যমে বিশ্বমঞ্চে কাতার ও তুরস্ককে দেখার আশাও প্রকাশ করেছেন তিনি।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে শুরু থেকেই চলছে বিতর্ক। শ্রমিক ও পরিবেশ আইন ভঙ্গ, মানবধিকার লঙ্ঘনসহ একাধিক অভিযোগ এনে কাতারের বিরুদ্ধে নিয়মিত সংবাদ প্রকাশ করে আসছে পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমগুলো।

আসর চলার সময়েও বন্ধ নেই কাতারের সমালোচনা। মদপানে নিষেধাজ্ঞা, পোশাকের শালীনতাসহ নানা বিষয়ে কাতারের আইনকে তারা তুলে ধরছে অতি রক্ষণশীল হিসেবে।

তবে এসব কিছুই দেখছেন না ওজিল। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির আয়োজনে তিনি দেখছেন না কোনো ভুলত্রুটি। তাছাড়া তাদের আতিথিয়েতারও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এ জার্মান তারকা।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন পর্তুগিজ তারকা

বৃহস্পতিবার (০১ ডিসেম্বর) সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে ওজিল লেখেন, ‘ কাতারের ফিফা বিশ্বকাপ আসরে উপস্থিত হতে পেরে ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আয়োজকদের নিখুঁত আয়োজন ও আতিথেয়তার জন্য। এখানে থাকতে পারা সব সময় আনন্দের। টুর্নামেন্টের বাকি অংশের জন্যেও শুভ কামনা।’

এরপর তিনি দোয়ার ইমোজির সঙ্গে তুরস্ক ও কাতারের পতাকা যুক্ত করে লেখেন, ‘ ইনশাআল্লাহ, আমরা আবার আমাদের দেখতে পাব।’

তার এ বার্তা থেকে এটাই স্পষ্ট যে, আগামী বিশ্বকাপে ৬৪ দলের প্রতিযোগিতায় তিনি তুরস্ক ও কাতারকে দেখতে চান। যদিও কাতার স্বাগতিক হিসেবে এবার খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু গ্রুপ পর্বের সবকটি ম্যাচ হেরে ইতোমধ্যে তারা আসর থেকে ছিটকে গেছে।

আরও পড়ুন: পেনাল্টি ইস্যুতে মেসির সঙ্গে বাজি ধরেছিলেন পোলিশ গোলরক্ষক

জার্মানিতে জন্ম নেয়া ওজিল ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশটির হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০১৪ সালে জার্মানদের হয়ে জেতেন বিশ্বকাপ শিরোপা। অথচ আজকে কোস্টারিকার বিপক্ষে জার্মানির ম্যাচ নিয়ে কোনো কথা বলেননি তিনি। কারণ জাতিগত ইস্যুতে দেশটির সঙ্গে তার অনেক মনোমালিন্য হয়েছে।

এদিকে তুরস্ককে নিয়ে তার মাতামাতির আছে যৌক্তিক কারণ। তার দাদার জন্মস্থান তুরস্ক। যেখান থেকে পরবর্তীতে তারা জার্মানিতে স্থায়ী হন। ২০১৮ সালে সবশেষ জার্মানির হয়ে খেলা ওজিল বর্তমানে খেলছেন তুরস্কের ক্লাব ইস্তাম্বুল বাসাকসেহিরে। 

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!