“কাদের মির্জা বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে”- সংবাদ সম্মেলনে তিন জনপ্রতিনিধি
ফেনী জেলা শহর প্রতিনিধি : ->>
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বিএনপি-জামায়াতের পেইড এজেন্ট। তিনি তাদের এজন্ডা বাস্তবায়ন করার পাশাপাশি এলাকায় টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির সাথে জড়িত। একই সাথে কাদের মির্জা মাদকাসক্ত, দুশ্চরিত্র ও উন্মাদ-বেসামাল বলে দাবি করেছেন ফেনীর তিন জনপ্রতিনিধি।
মঙ্গলবার দুপুরে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে কাদের মির্জার মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন। এসময় জেলা যুবলীগের সভাপতি ও দাগনভুঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, ফেনী পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র ও পৌর আওয়ামীগ সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী স্বপন বক্তব্য রাখেন। তবে লিখিত বক্তব্যে এই তিন জনপ্রতিনিধির নাম থাকলেও চিলনা কোন স্বাক্ষর।
লিখিত বক্তব্যে জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন বলেন, আব্দুল কাদের মির্জা তারেক জিয়ার সাথে আঁতাত করে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে, জাতীয় ও স্থানীয় নেতাদের নিয়ে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করছে। কাদের মীর্জা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যাকশন হাইটসে একটি হোটেলে বৈঠক করেন এবং তারেক রহমানের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এবং সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে। বিএনপির নেতা তারেক রহমান বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মীর্জাকে আশ্বাস দিয়েছেন আগামী সংসদ নির্বাচনে মওদুদ আহমেদ এর আসনে (বর্তমান সাংসদ ওবায়দুল কাদেরের আসন) ধানের শীষের প্রার্থী করা হবে। সেই আশ্বাসের কারণেই কাদের মীর্জা বিএনপি-জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, টেন্ডারবাজ, সিএনজির টোল আদায়কারী, বাস ট্রাক থেকে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের হোতা কাদের মির্জা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইমেজ ক্ষুন্ন করার জন্য আবোল তাবোল বক্তব্য শুরু করলে বিষয়টি আমাদের অনুভূতিতে আঘাত আসার কারণে আমরা তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছি। কাদের মির্জার সন্ত্রাসের শিকার হয়ে নোয়াখালীতে অসংখ্য আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী, সাধারণ মানুষ জীবন দিতে হয়েছে। ছাড়তে হয়েছে ঘরবাড়ি। কুখ্যাত সন্ত্রাসী কাদের মীর্জা নিজেকে বিখ্যাত বানানোর জন্য চট্টগ্রাম মেয়র পদে শপথ নিতে যাওয়ার পথে দাগনভূঞায়ায় ভোর বেলায় নিজের গাড়িতে হামলার যে গল্প তৈরী করেছেন তার কোন প্রমাণ কেউ দিতে পারবেনা।
জেলা যুবলীগের সভাপতি ও দাগনভুঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন বলেন, ‘নোয়াখালীর প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে নোয়াখালী জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাস ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবী জানাচ্ছি এ তথাকথিত ভন্ড, মতলববাজ, চাঁদাবাজের কোন আদেশ, কোন নির্দেশনা না শুনে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সাথে সাথে তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে পাবনা মানসিক হাসপাতালে অথবা যেকোন উন্নতমানের মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে প্রেরণ করা হোক।’
ফেনী পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামীগ সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী বলেন, ‘কাদের মির্জা-আপনাকে পঁচা ডিম না আপনাকে পায়খানা মারা হবে। গরু চোর, ছেঁচড়া, বদমাইশ, হাইজাকার, নারী খোর কাদের মীর্জা ও তার ছেলে মিলে বসুরহাটকে সন্ত্রাস ও মাদকের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছে। আমরা কাদের মির্জাকে জানিয়ে দিতে চাই আপনি সহজ পথে ফিরে আসুন। মিথ্যাচার থেকে সরে এসে সুস্থ্ ও সুন্দর রাজনীতিতে ফিরে আসুন।
সংবাদ সম্মেলন স্থলে ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেসবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল আলিম, সোনাগাজীর নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলামমহ বিভিন্ন এলাকার জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের র্শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।