কানাডার পথে মুহিবুল্লাহর আরও স্বজন
<![CDATA[
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে নিহত রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ মাস্টারের পরিবারের সদস্যসহ আরও কয়েকজন নিকটাত্মীয় তৃতীয় দফায় কানাডার উদ্দেশে উখিয়া থেকে ঢাকা পৌঁছেছেন।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর পরিবারের এসব সদস্য ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন বলে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
তবে নিহত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর পরিবারের সদস্যসহ কতজন নিকটাত্মীয় তৃতীয় দফায় কানাডার উদ্দেশে রওনা হয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
এর আগে গত ১ এপ্রিল প্রথম দফায় মুহিবুল্লাহর স্ত্রী ও সন্তানসহ ১১ জন এবং গত ২৭ সেপ্টেম্বর মা ও ভাইসহ ১৪ জন নিকটাত্মীয় কানাডার উদ্দেশে উখিয়ার আশ্রয়শিবির থেকে রওনা হন।
আরও পড়ুন: ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যা বলেছিলেন রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ
এ নিয়ে তিন দফায় ২৫ জনসহ মুহিবুল্লাহর পরিবারের আরও কিছু সদস্য ও নিকটাত্মীয় কক্সবাজারের আশ্রয় শিবির ছেড়ে কানাডার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, সোমবার সকালে উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে তৃতীয় দফায় দুষ্কৃতিকারীদের গুলিতে নিহত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর আরও কিছু স্বজন কানাডার উদ্দেশে ঢাকা যেতে রওনা দেয়।
‘তবে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর কতজন স্বজন কানাডার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্টদের দেয়া প্রাথমিক তথ্য মতে, তৃতীয় দফায় মুহিবুল্লাহর মেয়ের জামাই নওখিমের স্বজন রশিদ উল্লাহ ও মো. সেলিমের দুই পরিবারের ১০ সদস্য কানাডার উদ্দ্যেশে উখিয়ার ট্রানজিট ক্যাম্প ত্যাগ করছেন।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার বলেন, সোমবার সকালে এখানকার (ট্রানজিট ক্যাম্প) প্রক্রিয়া শেষে তাদের ঢাকার উদ্দেশে বিশেষ যানবাহন যোগে নেয়া হয়। সেখানে (ঢাকায়) তাদের অন্যান্য কার্য প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার কানাডার উদ্দেশে রওনা দেয়ার কথা রয়েছে।
তবে মুহিবুল্লাহর পরিবারের স্বজনদের কানাডায় স্থানান্তরের প্রক্রিয়াদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা তদারকি করছেন বলে জানান মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
গত ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে নিজ কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন শীর্ষস্থানীয় রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ। পরে চলতি বছরে দুই দফায় তার পরিবারের আরও ২৫ জন নিকটাত্মীয় কানাডায় রওনা দেয়।
]]>




