কামিন্সের কাছে শচীন নয়, কোহলিই সেরা
<![CDATA[
ডন ব্রাডম্যান পরবর্তী সময়ে সেরা ক্রিকেটারের বিতর্কে অবধারিতভাবে আসে ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের নাম। লিটল জিনিয়াস টেন্ডুলকারের পর ক্রিকেটের ২২ গজের রাজত্বটা এখন বিরাট কোহলির হাতে। একের পর এক কীর্তিতে ক্রিকেটের মঞ্চ রাঙানো কোহলি ওয়ানডেতে শচীনের সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। ৩৪ বছর বছর বয়সি তারকা উসকে দিয়েছেন সেরার বিতর্ক।
শচীন সেরা, নাকি বিরাট কোহলি?
এমন প্রশ্ন প্রায়ই ভাসে এখন ক্রিকেটের দুনিয়ায়। মাঝখানে বিরাট কোহলির বাজে ফর্মে বিতর্কটা মিইয়ে পড়লেও, ৩৪ বছর বয়সি এ ব্যাটারের ব্যাটে রান ফিরতেই ফের আলোচনায় শ্রেষ্ঠত্বের বিতর্ক। কেউ বলেন শচীন সেরা, তো কেউ বলেন কোহলি। দুই শিবিরে বিভক্ত যেন ক্রিকেট দুনিয়া। অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্স সেরার বিতর্কে যোগ দিয়েছেন ‘কোহলি’ শিবিরে।
আরও পড়ুন:ভারতের জয়ে কঠিন হলো টাইগ্রেসদের সেমির স্বপ্ন
নাগপুরে ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে বোর্ডার-গাভাস্কার টেস্ট সিরিজ। অ্যাশেজ ও ভারত-পাকিস্তান সিরিজের পর সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও আলোচিত লড়াই বলা চলে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার এই সিরিজকে। চার টেস্টের সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া দল শিগগিরই পা রাখবে ভারতের মাটিতে।
এই সিরিজ নিয়ে টিজার বানিয়ে ইউটিউবে ছেড়েছে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও। সেখানেই কামিন্সের সতীর্থ উসমান খাজার প্রশ্নের জবাবে কোহলিকে বেছে নেন ক্যামিন্স। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়কের কাছে খাজার প্রশ্ন ছিল: ‘শচীন ও কোহলির মধ্যে সেরা কে?’
আলাদা সময়ের দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে তুলনা করা সবসময়ই কঠিন। তাই এমন প্রশ্নে ভালোই বিপদে পড়েছিলেন কামিন্স। এড়িয়ে যেতে চাইলেও শেষে বাধ্য হয়ে কোহলিকেই বেছে নেন তিনি।
কামিন্স বলেন, ‘টেন্ডুলকারের বিপক্ষে আমি একবারই খেলেছি। অনেক বছর আগে টি-টোয়েন্টিতে। তাই আমি বিরাটকেই বেছে নেব।’
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে শচীন জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন মাত্র একটি টি-টোয়েন্টি। ২০০৬ সালে সে ম্যাচে তার বিপক্ষে খেলার কোন সুযোগই ছিল না ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার জার্সি গায়ে চড়ানো কামিন্সের। হয়ত ক্রিকেট ঈশ্বরের বিপক্ষে কোন টি-টোয়েন্টিতেই খেলেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন:ভারতের বিশ্বকাপ দলে থাকছেন উমরান মালিক
কামিন্সও অবশ্য পাল্টা প্রশ্ন করেছিলেন খাজাকে। ভারতের বিখ্যাত ‘ফ্যাব ফোর’ এর মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের বিবেচনায় ক্রম অনুসারে সাজাতে বলেন। উল্লেখ্য, শচীন, দ্রাবিড়, গাঙ্গুলি ও লক্ষণকে একত্রে ভারতীয় ক্রিকেটের ফ্যাব ফোর বলা হতো। পরবর্তীতে বীরেন্দর শেবাগের উত্থানের পর যাকে ডাকা হতো ফ্যাব ফাইভ।
খাজা অবশ্য সোজাসাপ্টা উত্তর দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি টেন্ডুলকারকে সবার আগে রাখব। দ্রাবিড় দুইয়ে, তিনে দাদা অর্থাৎ গাঙ্গুলী। লক্ষ্মণের জন্য এটা বলতে খুব খারাপ লাগছে। লক্ষ্মণের ব্যাটিং দেখতে ভালোবাসি, কিন্তু বাঁহাতিই (সৌরভ গাঙ্গুলী) আগে আসবে।’
]]>




