কার্পেটের তলার চুক্তি সম্পর্কে জানতে চান রিজভী
<![CDATA[
সীমান্ত হত্যা প্রধান ইস্যু। মানুষের বিশ্বাস ছিল, ভারতের সঙ্গে আলোচনা করলে কমপক্ষে সীমান্তে হত্যা বন্ধ হবে। কিন্তু এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কোনো আলোচনা করেননি বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, পৃথিবীর আর কোনো সীমান্ত এত রক্তাক্ত নয়। যত রক্তাক্ত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত। তার (প্রধানমন্ত্রী) সফর চলাকালীন ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সমাবেশ ও শোভাযাত্রা কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘সীমান্তে পাখির মতো মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই বিষয়ে তো কখনও একটু প্রতিবাদ করেন না। তিস্তা নদীর পানি আপনি আনতে পারেন না। তাহলে চুক্তি হয়েছে কী? আসল চুক্তি কী? কার্পেটের তলায় কী চুক্তি হয়েছে? কার্পেটের ভেতরে যে কাগজপত্র আছে প্রধানমন্ত্রী তা বাংলাদেশের জনগণকে জানাবেন না।’
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ যেটাকে সাদা মনে করে আপনি সেটাকে কালো মনে করেন। আর জনগণ যেটাকে কালো মনে করে আপনি সেটাকে সাদা মনে করেন। কারণ আপনাকে এখন মিথ্যা, ছলচাতুরী, প্রতারণা এবং লুটতরাজের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে হয়।’
আরও পড়ুন: ‘ভারতে সব সমঝোতা হয়েছে, চুক্তি হয় নাই’
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের উদ্দেশ্য ক্ষমতায় টিকে থাকা বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পাশের দেশে গিয়েছিলেন, যেতেই পারেন। তার কয়েকদিন আগে তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে কথা বলেছিলেন, সেটা যে মিথ্যা ছিল এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। কারণ যে প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যা করে, তিনি তো ভালো করেই জানেন, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি জিততে পারবেন না। কাজেই তাকে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অন্য কোনো পদ্ধতি নিতে হবে। পরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য এখন বাস্তবায়ন হওয়া দেখছি।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি শোভাযাত্রা বের করেন দলের নেতারা।
]]>




