কুমিল্লায় গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পেটালেন ননদ-শাশুড়ি
<![CDATA[
তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে এক গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ননদ-শাশুড়ি বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনার ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ধামতী ইউনিয়নের কোরেরপাড় এলাকার দুলাল মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার হাসপাতালে ভর্তি করে।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর নাম জ্যোৎস্না বেগম। তার স্বামী দুলাল মিয়া পেশায় কসাই। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে শ্বশুর-শাশুড়ি ও দুই ননদের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন নির্যাতিত গৃহবধূ।
ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শাশুড়ি জুলেখা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। তবে অপর অভিযুক্ত শ্বশুর দুলাল মিয়া, ননদ মৌসুমী ও পাখিকে এখনো আটক করতে পারেনি।
স্থানীয় চৌকিদার আবুল হাশেম বলেন, নির্যাতনের সময় জ্যোৎস্না ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে আর্তনাদ করলেও ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি।
আরও পড়ুন: ইউনিয়ন সভাপতিকে পেটালেন উপজেলা আ.লীগ সভাপতি
ভুক্তভোগীর মা ফরিদা বেগম ও ছোট ভাই মো. জামাল হোসেন বলেন, শ্বশুর দুলাল মিয়া, শাশুড়ি জুলেখা বেগম, ননদ মৌসুমী ও পাখি যৌতুকের জন্য প্রায়ই জ্যোৎস্নাকে মারধর ও নির্যাতন করত। তবুও এত বছর সংসার করেছে। ঘটনার দিন গলা সমান খালের পানি থেকে বাঁশ না তোলায় আমার জোৎসনাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেছে।
এ ব্যাপারে জোৎসনার স্বামী হেলাল মিয়া মুঠোফোনে বলেন, জ্যোৎস্নাকে আমার বোন চড় দেয়ায় সে ক্ষোভে গলায় ফাঁস দিতে চাওয়ায় তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলতে বলেছি। এর বেশি কিছু নয়।
ধামতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন মিঠু বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। এলাকার লোকজন আমার কাছে নির্যাতনের ছবি ও ভিডিও পাঠিয়েছে। নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূকে সবধরনের সহযোগিতা করব।
এ ব্যাপারে দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, শাশুড়ি ও ননদ মিলে গৃহবধূ জ্যোৎস্নাকে বাড়ির পাশের খাল থেকে বাঁশ তুলতে বলেছিল। কিন্তু জ্যোৎস্না তা করেননি। এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে শাশুড়ি-ননদ মিলে তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে লাঠি দিয়ে পেটায়।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার ওই নারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
]]>