বাংলাদেশ

কেউ যেন আর বিচারহীনতার কষ্ট না পায়: প্রধানমন্ত্রী

<![CDATA[

বিচার বিভাগের নানা উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বিচারপতি, বিচারক ও আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের মতো কেউ যেন আর বিচারহীনতার কষ্ট না পায়।

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সুপ্রিম কোর্টের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাবা-মা, ভাইবোন মারা গেলেন, আর আমি বিচার চাইতে পারব না। অথচ তাদেরই অনেকে বিচারের ধারক-বাহক বলে পরিচয় দেয়। আমাদের মতো কেউ যেন আর বিচারহীনতার কষ্ট না পায়। এ রকম পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ যেন আর না পড়ে।

তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মানবাধিকার রক্ষা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং দেশের যে কোনো ক্রান্তি লগ্নে সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশ সংবিধানের অভিভাবক ও রক্ষক হিসাবে মর্যাদাপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন: পঁচাত্তর পরবর্তী সরকারগুলো দেশকে ব্যর্থ করতে চেয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ দেশে আদালতে বোমা মেরে বিচারক হত্যা করা হয়েছে, আইনজীবীকেও হত্যা করা হয়েছে। আমিই যে শুধু গ্রেনেড হামলার শিকার হয়েছি তা নয়, আমাদের বিচারকরাও এ থেকে রক্ষা পাননি। জামায়াত-বিএনপি যখন বিরোধী দলে তখন ঝালকাঠি ও গাজীপুরে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল। তাদের অগ্নিসন্ত্রাস ও বোমাবাজি সম্পর্কে আপনারা জানেন। সেই ঘটনার পর থেকে আমরা বিচারকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি।’

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ যারা করেছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, বিচারকদের বিচার কাজের সুবিধার্থে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এমনকি তাদের জীবনযাপনের জন্য যতটুকু প্রয়োজন সামর্থ্য অনুসারে ব্যবস্থা করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সবসময় প্রচেষ্টা ছিল সর্বোচ্চ আদালত স্বাধীনভাবে চলবে। তাই তার আর্থিক ব্যবস্থাপনা যেটা আগে ছিল সরকারপ্রধানের হাতে, সেটা সম্পূর্ণভাবে সুপ্রিম কোর্টের হাতে হস্তান্তর করি। আলাদা বাজেট বরাদ্দ দিই। বিধিমালা প্রণয়নের ব্যবস্থা করি। স্থায়ী আইন কমিশন গঠন করি। জুডিশিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে নেই এটা খুব অবাককাণ্ড! আমি কিন্তু সেটাও তৈরি করে দিয়েছিলাম। আমাদের কোনো ড্রাফট উইং ছিল না। ড্রাফট উইংও তৈরি করে দিয়েছি। ১৯৯৬ সালে কেউ কম্পিউটার ব্যবহার করত না। আমি প্রধানমন্ত্রীর ফান্ড থেকে একটি কম্পিউটার কিনে প্রথম ড্রাফট উইং তৈরি করে দিয়েছিলাম। আর সেই সঙ্গে অ্যানেক্স ভবন তৈরি করে দিই।’

আরও পড়ুন: সংবিধানের রক্ষক হিসেবেও মর্যাদাপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন সুপ্রিম কোর্ট: প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, আইন বিশ্ববিদ্যালয় করার প্রস্তাবনা অনেকে দিচ্ছেন। আমরা সেটারও ব্যবস্থা করছি।

এ সময় দেশের অগ্রযাত্রার চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। সবক্ষেত্রে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে যেন অনলাইনে কাজ করতে পারি। যাতে করে কোনো অপচয় না হয়। বাংলাদেশ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক প্রমুখ।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!